শনিদেবের পুজোর সময় মেনে চলুন এই ৬ নিয়ম! মিলবে সুফল
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 31 Aug 2024, 11:00 AM ISTSayani Rana
শনির অশুভ দৃষ্টি একবার পড়লে জীবন ছাড়খার হয়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে তাঁর আরাধনা করতে হয়। নিয়মের অন্যথা হলেও কিন্তু নানা বিপদ হতে পারে। তাই এই দিনে শনিদেবের পুজোর সময় বিশেষ কিছু বিষয়ের খেয়াল রাখুন, কারণ ছোট ছোট ভুলের জন্যও কিন্তু বড় সমস্যা ভোগ করতে হতে পারে।
শনিদেব
হিন্দুধর্মে সপ্তাহের এক একটি দিন এক এক দেব-দেবীকে উত্সর্গ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল শনিবার। এই দিন কর্মফলের দেবতা সূর্য-পুত্র শনিদেবের খুব প্রিয় একটি দিন। এই দিন ভক্তি ভরে, সঠিক নিয়ম মেনে তাঁর পূজা করা হলে সুফল পাওয়া যায়। অনেকেই শনির দশা বা শনিদেবের রোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বড়ঠাকুরের পুজো করে থাকেন। কারণ একবার তাঁর কুদৃষ্টি পড়লেই আর রক্ষা নেই। হিন্দুশাস্ত্র মতে, শনির অশুভ দৃষ্টি একবার পড়লে জীবন ছাড়খার হয়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে তাঁর আরাধনা করতে হয়। নিয়মের অন্যথা হলেও কিন্তু নানা বিপদ হতে পারে। তাই এই দিনে শনিদেবের পুজোর সময় বিশেষ কিছু বিষয়ের খেয়াল রাখুন, কারণ ছোট ছোট ভুলের জন্যও কিন্তু বড় সমস্যা ভোগ করতে হতে পারে।
শনির পুজো করার সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে
১) শাস্ত্রে মতে শনিদেবকে নীল অপরাজিতা ফুল দিয়ে পুজো করলে তিনি খুশি হন। এতে সাড়ে সাতি ও ধাইয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) তবে এই পুজোয় বাসন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধ রয়েছে। যেমন শনিদেবের পুজোয় কিন্তু কখনওই তামার পাত্রের ব্যবহার করা যায় না। তামা সূর্য দেবতার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই বড়ঠাকুরের পুজোয় এই পাত্র ব্যবহার করবেন না। তার বদলে লোহার তৈরি পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
৩) শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে শনিদেবের পুজো করার সময় কখনই তাঁর সামনে প্রদীপ জ্বালানো উচিত নয়। তার পরিবর্তে বট গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এতে বেশি উপকার পাবেন।
৪) শনিদেবের বিগ্রহের সামনে পুজোর সময় তাঁর চোখের দিকে ভুল করেও তাকানো যাবে না।
৫) শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে শনিদেবের পুজোর সময় পোশাকের রঙের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। পুজোয় লাল রং একেবারেই ব্যবহার করবেন না। শনির পুজোর সময় লাল জামা পরা অশুভ বলে মনে করা হয়। পুজো করার সময় শুধুমাত্র কালো বা নীল রঙের পোশাক পরুন। তা হলেই শনির দশা কেটে যেতে পারে বলে মনে করা হয়।
দাবিত্যাগ - এই নিবন্ধে দেওয়া কোনও তথ্যের যথার্থতা বা নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এই তথ্যগুলি জ্যোতিষী, পঞ্জিকা, বিশ্বাস বা ধর্মীয় শাস্ত্রের মতো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করা। এর জন্য হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা কোনও ভাবেই দায়বদ্ধ নয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।