ভারতের বিভিন্ন রহস্যময় মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরের সঙ্গে নানা রহস্য জড়িয়ে রয়েছে আদিকাল থেকেই। কিছু রহস্য যেমন তাঁর সিড়ি নিয়ে, কিছু রহস্য আবার জড়িয়ে রয়েছে তাঁর পতাকা নিয়ে। আবার মন্দিরের গড়ন নিয়েও রয়েছে বেশ কিছু রহস্য। জগন্নাথ মন্দিরে প্রচলিত রয়েছে এক পৌরাণিক রীতি। আর সেই রীতিটি মন্দিরের ধ্বজা নিয়েই প্রচলিত।১৮ বছর বন্ধ থাকবে মন্দিরপুরীর জগন্নাথধামের শীর্ষে একটি পতাকা থাকে। এই পতাকার নাম পতিতপাবণ বান বা পতিতপাবণ বানা। এই পতাকা প্রতিদিন বদল করা নিয়ম। যদি কোনও একদিন এই পতাকা পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে তা ঘোর অশুভ বলে বিবেচনা করা হয়। যার জেরে মন্দির ১৮ বছর বন্ধ করে রাখার নির্দেশ রয়েছে শাস্ত্রে।কখন বদলানো হয় পতাকা?পুরীর মন্দিরের পতাকা প্রতিদিনই সন্ধেবেলা বদলানোর নিয়ম। গরমকালে সন্ধে ছটা নাগাদ এই পতাকা বদলানো হয়। শীতকালে সন্ধে পাঁচটা নাগাদ বদলাতে হয় মন্দিরের পতাকা। মন্দিরের সেবকই এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কখনও এর অন্যথা হলে তা ঘোর অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়।মন্দিরের পতাকা ওড়ে বিপরীত মুখেমন্দিরের পতাকা হাওয়া যেদিকে বয়ে যায়, তার বিপরীত দিকে ওড়ে। এই অদ্ভুত ঘটনার আজও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। সাধারণত যেদিক থেকে হাওয়া বয়, তার উল্টোদিকেই মন্দিরের পতাকা ওড়ে।৪৫ তলা উঁচুতে উঠেপ্রতিদিন পতাকা পাল্টাতে হলে মন্দিরের চূড়ায় উঠতে হয় মন্দিরের পূজারী বা সেবককে। পুরীর জগন্নাথধাম প্রায় ৪৫ তলা উঁচু। মন্দিরের চূড়ায় আসীন চক্রের উপর প্রোথিত থাকে পতিতপাবন বান পতাকা। সেই পতাকাই প্রতিদিন বদল করতে হয়। স্থাপন করতে হয় একটি করে নতুন পতাকা।