পুরীর জগন্নাথ মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়। এটি একাধারে রহস্য, অলৌকিক ঘটনা এবং লোকবিশ্বাসে পরিপূর্ণ একটি স্থান। যুগ যুগ ধরে এর অনেক রহস্য মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে চলেছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ছায়া যেমন একটি রহস্য, তেমনই আরেক রহস্য হল এর শীর্ষে থাকা পতাকার রহস্য।
আরও পড়ুন - ‘তরুণ লাগছে তোমাকে’ সুন্দর পিচাইয়ের কথায় গুগল আর গডের তফাত বোঝালেন গৌরাঙ্গ দাস
জগন্নাথধামের তিনটি রহস্য
১. মন্দিরের ছায়া - পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রায় ২১৪ ফুট উঁচু। কিন্তু দিনের কোনো সময় এই মন্দিরের ছায়া মাটিতে পড়ে না। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি আজও এক রহস্য। অনেকেই এটিকে স্থাপত্যবিদ্যার এক অসাধারণ নিদর্শন বলে মনে করেন। দিনের যেকোনও সময় মন্দিরে গেলেও এর ছায়া দেখা যাবে না মাটিতে।
২. মন্দিরের পতাকার রহস্য - মন্দিরের চূড়ায় থাকা পতাকা সবসময় বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়ে। সাধারণত পতাকা যেদিকে বাতাস বয়, সেদিকেই ওড়ে। কিন্তু এই মন্দিরের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়, যা আজও এক বিস্ময়। সমুদ্রের দিক থেকে বাতাস এলেও পতাকা সেই হাওয়ার গতি বরাবর না উড়ে বিপরীত দিকে ওড়ে। আবার রাতে যখন উল্টোদিকে হাওয়া বয়, তখন পতাকা তার দিক পরিবর্তন করে ফেলে!
আরও পড়ুন - বদ্রীনাথ হাইওয়ে ভয়াবহ ভূমিধস! কবে সচল হবে পথ? পুলিশের তরফে প্রকাশ্যে ভিডিয়ো
৩. মন্দিরের উপর দিয়ে বিমান বা পাখি ওড়ে না - আশ্চর্যজনকভাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপর দিয়ে কোনো বিমান বা পাখি উড়তে দেখা যায় না। এমনকি মন্দিরের চূড়ায় কোনো পাখি বসেও না। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, শ্রীবিষ্ণুর বাহন গরুড় এই মন্দির রক্ষা করেন, তাই অন্য পাখিরা এর উপর দিয়ে যেতে ভয় পায়। আবার কেউ কেউ মনে করেন, মন্দিরের উপরে থাকা নীল চক্রের চৌম্বকীয় ক্ষমতার কারণে এমনটা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর আসল কারণ ধরা যায়নি।