ভাদ্র মাসের আমাবস্যা কে কৌশিকী আমাবস্যা বলা হয়ে থাকে । এই অমাবস্যার সাথে নানা কাহিনী জড়িত রয়েছে। তারাপীঠ মন্দিরে বিশেষ উপচারে এই দিন বিশেষভাবে তারা মায়ের পূজা করা হয়। এই অমাবস্যা তিথিতে বিশেষভাবে পূজায় অংশগ্রহণ করে, তারপর যদি দ্বারকা নদীতে স্নান করা হয়, তাহলে মনে করা হয় জীবনে সব পাপ থেকে নাকি মুক্তি মেলে। এদিন তন্ত্র ক্রিয়ার বিশেষ সফলতার জন্য তিথির মাহাত্ম্য এতটাই বেশি যে হাজার হাজার ভক্ত ছুটে যান তারাপীঠ মন্দিরে।এ বছরের অমাবস্যা আরো বিশেষ, কারণ এই অমাবস্যা তিথি পড়েছে শনিবার দিন। শুক্রবার ২৬ শে আগস্ট দুপুর ১২ টা ২৪ মিনিট থেকে ২৭ আগস্ট শনিবার দুপুর ১টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত আমাবস্যা তিথি থাকবে। এদিনন সকাল থেকেই তারাপীঠে মায়ের আরাধনা শুরু হয়।মা তারা হলেন দশ মহাবিদ্যার মধ্যে দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কৌশিকী হল মা তারারই বিশেষ রূপ। রং কালো হওয়ার জন্য ভোলেনাথ নাম দেন কৌশিকী। কথিত আছে কৌশিকী অমাবস্যার দিনে তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেত শিমুল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। তাই বিশেষভাবে পালিত হয় এই অমাবস্যা তিথি।বলা হয় এই অমাবস্যা তিথির একটা বিশেষ সময়ে স্বর্গ এবং নরকের উভয় দিকের দ্বার খুলে যায়। সাধক যেদিকে যেতে চান মহা শক্তি তাকে সেদিকেই আকর্ষিত করে। এই অমাবস্যার রাত্রি খুব বিশেষ, তন্ত্র ক্রিয়া করলে সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাফল্যমণ্ডিত হয় এবং এই দিনের তন্ত্র ক্রিয়া বিশেষ শক্তিশালী। তাই এদিন তারাপীঠ মহাশ্মশানে খুবই ভিড় থাকে, সাধনার শ্রেষ্ঠ সময় হল ভাদ্র মাসের কৌশিকী আমাবস্যার এই বিশেষ রাত্রি।