অমাবস্যায় কাটবে অন্ধকার হবে আলোর মেলা। এবার পর্যটকদের জন্য দারুণ চমক থাকবে তারাপীঠে। এই কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে পর্যটকদের জন্য দ্বারকা নদীর পাড়ে বিশেষ গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। এই বিশেষ আরতির মাধ্যমে জেলা পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক যোগ হবে।
প্রতীকী ছবি
অমাবস্যায় কাটবে অন্ধকার, হবে আলোর মেলা। এবার পর্যটকদের জন্য দারুণ চমক থাকবে তারাপীঠে। এই কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে পর্যটকদের জন্য দ্বারকা নদীর পাড়ে বিশেষ গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। এই বিশেষ আরতির মাধ্যমে জেলা পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক যোগ হবে। সঙ্গে সাজবে দ্বারকার পাড়।
সম্প্রতি জেলাশাসক এই আরতির নিয়ে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠকও করেন। এবার কৌশিকী অমাবস্যার দিন থেকে শুরু হবে দ্বারকা নদীতে আরতি, তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলাশাসক। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু গিয়েছে। পাড় বাঁধানো ও আরতির জন্য আলাদা করে জায়গা তৈরির করার কাজ চলছে।
বারাণসীর মতোই দ্বারকাতেও আরতি দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারাপীঠের সেবাইতরা প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতি করবেন বলে জানা গিয়েছে। বছরের ৩৬৫ দিন যেমন বারাণসীর ঘাটে গঙ্গা আরতির আয়োজন হয়ে থাকে, তেমন করেই আরতি হবে দ্বারকাতেও। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছিল গঙ্গারতি। তাছাড়াও রাজ্যের নানা জায়গায় বর্তমানে এই গঙ্গা আরতি শুরু হয়েছে। আর এবার তাই রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তারাপীঠেও এই সন্ধ্যা আরতির প্রস্তাব দিয়েছেন প্রশাসন।
যেহেতু কৌশিকী অমাবস্যা আর বিশেষ দেরি নেই, তাই খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে TRDA। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ঘাট বাঁধানোর। শ্মশানের পাড় রেলিং দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে পর্যটকরা সেখানে বসে বা দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা আরতি দেখতে পারেন। দ্বারকা নদী একেবারে শ্মশানের পাশে যেহেতু তাই পর্যটকদের কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টির দিকেও লক্ষ রেখে পাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এই বিষয়ে অনেকটা সাহায্য করছেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির লোকজন।'
প্রসঙ্গত, দর্শনীয় স্থান বলতে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আটলা মন্দির এবং বীরচন্দ্রপুর ছাড়া আর তেমন কোনও জায়গা ছিল না কিন্তু এই গঙ্গা আরতি পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে। তাই দ্বারকা নদীর পশ্চিম দিকে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সাজানো হচ্ছে নদীর পাড়। এছাড়াও টাইলস দিয়ে পর্যটকদের বসার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে লাগানো হচ্ছে রঙিন ফুলের গাছ।