হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিকে ফাল্গুন অমাবস্যা বলা হয়। ফাল্গুন অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করে দান করার রীতি রয়েছে। এর ফলে পাপ দূর হয় এবং পুণ্য লাভ হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, পূর্বপুরুষরাও অমাবস্যার দিনে পৃথিবীতে আসেন। তাঁরা আশা করে যে তাঁদের সন্তানরা তর্পণ, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি মাধ্যমে তাঁদের সন্তুষ্ট করবেন।
তবে এই বছর ফাল্গুন অমাবস্যা নিয়ে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন উঠেছে যে, ২৭ ফেব্রুয়ারি নাকি ২৮ ফেব্রুয়ারি কোন দিন ফাল্গুন অমাবস্যা? জ্যোতিষবিদের মতে পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এই বছর ফাল্গুন অমাবস্যা তিথি ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা বেজে ৫৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এবং পরের দিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা বেজে ১৪ মিনিট পর্যন্ত তা থাকবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজযোগে ৫টি রাশি হবে ধনী, চাকরি ব্যবসায় আসবে অসাধারণ অগ্রগতি
অমাবস্যা তিথি ২৭ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের পরে শুরু হবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের আগে শেষ হবে। এই কারণে, ফাল্গুন অমাবস্যা ২৭ ফেব্রুয়ারি নাকি ২৮ ফেব্রুয়ারি, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আসলে সূর্যোদয়ের সময়ের উপর ভিত্তি করে তারিখ গণনা করা হয়। কিন্তু ফাল্গুন অমাবস্যার তিথি ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরো দিন ধরে চলবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের আগে শেষ হবে। অমাবস্যা তিথিতে দিনের বেলায় পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা উচিত। তাই এই বছর ফাল্গুন অমাবস্যা ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার পালিত হবে।
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রিতে করুন একজোড়া লবঙ্গের এই কৌশল, পূর্ণ হবে যে কোনও মনস্কামনা
ব্রহ্ম মুহুর্তকে স্নান এবং দানের জন্য সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। এবার, ফাল্গুন অমাবস্যার দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তটি ভোর ৫ টা ৮ মিনিট থেকে ভোর ৫টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় স্নান এবং দান করা উচিত। তারপর অমাবস্যা তিথির শুরুতে, অর্থাৎ সকাল ৮টা বেজে ৫৪ মিনিট থেকে পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করা শুরু করা উচিত।
যাঁরা ফাল্গুন অমাবস্যায় তাঁদের পূর্বপুরুষদের জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে চান তাঁরা দিনের বেলা সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ধরা হয়। এই সময়ে পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করলে পূর্বপুরুষরা পিণ্ডদানের উপকার পেতে পারেন।