ব্যাটারিই আগামিদিনে সভ্যতার ভিত্তি হতে চলেছে। আর সেই কারণে এই বিষয়ে জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। একাধিক উদ্যোগের অংশ হিসাবে, এবার গ্রিড-স্কেল ব্যাটারি স্টোরেজ স্থাপনে উত্সাহ প্রদানে নজর দিল মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে একটি প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্পের ছক বানানো চলছে। স্কিমের খসড়া আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল দুই ব্যক্তি সূত্রে মিলেছে এই খবর। আরও পড়ুন: ভারতে ফোন তৈরি নয়, অ্যাসেম্বল হয়, উৎপাদন বাড়ছে না, গলদ ধরলেন রঘুরাম রাজন
গ্রিড-স্কেল ব্যাটারি কী?
গ্রিড-স্কেল ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম বা ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (BESS) পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। গ্রিডের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই ধরনের ব্যাটারি। উচ্চ চাহিদার সময়ে এই শক্তি সরবরাহ করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
'এই স্কিমের বিষয়ে সরকার কাজ করছে। ১০,০০০-১৫,০০০ কোটি টাকার মতো সুবিধা প্রদান করা হতে পারে,' জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র। ‘আমরা এটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, যাতে এই PLI স্কিমের সঙ্গে অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেলস(ACC)-এর চলমান প্রকল্প ওভারল্যাপ না করে। গ্রিড-স্কেল ব্যাটারি স্টোরেজের মূল প্রয়োজনীয়তা হল গ্রিডের স্টেবিলিটি। বিদ্যুতের প্রবাহ যাতে নিয়মিত ফ্রিকোয়েন্সিতে চলতে থাকে এবং র্যাম্প রেট ACC ব্যাটারির তুলনায় অতটা বেশি নয়, তার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

গ্রাফিক্স: মিন্ট
(Mint)ভারত আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট (GW)-এর পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উত্পাদন ক্ষমতায় পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। এই বিপুল পরিমাণে নবীকরণযোগ্য শক্তি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌর এবং বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উত্স থেকে শক্তির ক্ষেত্রে তা সব সময়ে সমান হারে উত্পাদন করা যায় না। কারণ এটি প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। ফলে যে সময়ে উত্পাদন অতিরিক্ত হচ্ছে, সেই সময়ে তা সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। পরে যখন উত্পাদন কম হবে, বা চাহিদা বেশি হবে, সেই সময়ে সেই শক্তি রিলিজ করা হবে। অতএব, গ্রিডে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে সংরক্ষিত করতে BESS একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশজুড়ে ৫০০ গিগাওয়াটের জন্য এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা মোটেও মুখের কথা নয়।
প্রস্তাবিত এই স্কিমে এই জাতীয় শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন প্রযুক্তির বিষয়ে গবেষণা চলছে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি থেকে সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, ভ্যানডিয়াম রেডক্স ব্যাটারি ইত্যাদি প্রায় সমস্ত অপশনই যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সবচেয়ে যোগ্য মাধ্যমটি খুঁজে বের করার বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: ভারতের লিথিয়াম ভাণ্ডার সুখবর তো বটেই, কিন্তু আছে কিছু ক্ষতিকর দিকও
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক