
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের তৃতীয় দিনের লাইভ ব্লগে আপনাদের স্বাগত। কর্ণাটকের আলুরে মুখোমুখি মধ্যপ্রদেশ ও বাংলা। দ্বিতীয় দিনে বাংলার খারাপ ব্যাটিংয়ের জেরে ম্যাচের রাশ চলে যায় মধ্যপ্রদেশের দিকে। যদিও মনোজ ও শাহবাজের ১৪৩ রানের পার্টনারশিপের জেরে ম্যাচে ফেরে বাংলা। তৃতীয় দিন দুজনেই শতরান করেন তবে বাকিরা তেমন কিছু রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২৭৩ রানে শেষ হয় বাংলার ইনিংস। ৬৮ রানের লিড নিয়ে ফের ব্যাটিং শুরু করে মধ্যপ্রদেশ। দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ ১৬৩-২। কার্যত ম্যাচের রাশ তাদের হাতে। বাংলার প্রয়োজন মিরাকেলের। তৃতীয় দিনের বড় আপডেটগুলি এক নজরে পড়তে পারবেন এই ব্লগে।
প্রথম ইনিংসে পেসাররা ভালো বল করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ থেকে কোনও সহায়তা নেই তাই মুকেশ ও আকাশ সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। অনেক আশা ছিল বাংলার স্পিনারদের থেকে কিন্তু শাহবাজ এদিন একেবারেই ছন্দ পাননি। সহজেই তাঁকে খেলেছেন পতিদাররা। অন্যদিকে একটি উইকেট পেলেও প্রদীপ্তকে ঠিক করে ব্যবহার করেননি ঈশ্বরন। সেট হওয়ার পর তাঁকে আনা হয়। সব মিলিয়ে দিশাহীন লেগেছে বাংলার বোলারদের।
দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ ১৬৩-২। ১০৯ বলে ৬৩ রানে নট আউট রজত পতিদার, অন্যদিকে খুব ধীরে ধীরে খেলছেন অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব। তিনি ৯০ বলে ৩৪ রানে অপারিজত। ২৩১ রানে এগিয়ে মধ্যপ্রদেশ। আরো দুই দিনের খেলা বাকি। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ম্যাচ ড্র হলে ফাইনালে চলে যাবে মধ্যপ্রদেশ। কিন্তু যেভাবে খেলা চলছে, বাকি আটটা উইকেট কে নেবে, সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে।
দিন প্রায় শেষ। আলো কমছে, একই সঙ্গে কমছে বাংলার আশা। রজত পতিদার ও আদিত্য শ্রীবাস্তবকে আউট করার কার্যত কোনও সুযোগ পাচ্ছে না বাংলা। পিচে তেমন কিছু নেই তাই কোনও উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা হচ্ছে না। মধ্যপ্রদেশের ড্র করলেও চলবে তাই ধীরে ধীরে খেলছে তারা। মধ্যপ্রদেশশ ১৫৬-২
৪৯ তম ওভারে প্রথমবারের জন্য হাত ঘোরানোর সুযোগ পেলেন সায়ন শেখর মন্ডল। সাত রান হল ওভার থেকে। তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটারদের। সহজেই স্ট্রাইক রোটেট হচ্ছে। রান আটকানোর জন্য নেগেটিভ লাইন বল করছেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক! ৫০ ওভার শেষে ১৩৩-২। ৪৭ রানে নট আউট রজত ও ২০ রানে আদিত্য। লিড এখন ২০১।
আকাশ দীপের বল আদিত্য শ্রীবাস্তবের পায়ে লাগল, একেবারে উইকেটের সামনে। খুব সম্ভবত উচ্চতার কথা ভেবে আউট দিলেন না আম্পায়ার। রিপ্লে দেখে যদিও মনে হচ্ছে বল তেমন বাউন্স করেনি, খুব ভাগ্যবান ছিলেন মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক।
আকাশদীপ উইকেট টু উইকেট বল করছেন যাতে এলবি-র সুযোগ মেলে। কিন্তু খুব সহজেই খেলছেন মধ্যপ্রদেশের দুই ক্রিকেটার। আইপিএলে সবার নজরকাড়ার পর রজত পতিদার এবার রঞ্জিতেও বেশ ভালো খেলছেন। সহজেই স্ট্রাইক রোটেট করছেন তিনি ও অধিনায়ক শ্রীবাস্তব। কেন প্রদীপ্ত প্রামাণিককে মাত্র পাঁচ ওভার বল দেওয়া হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। মধ্যপ্রদেশ ১১৬-২। শ্রীবাস্তব ১৪ ও পতিদার ৩৭ রানে নট আউট। লিড বেড়ে ১৮৪।
চা পানের বিরতির পর দুদিক থেকে পেস নিয়ে অপারেট করছে বাংলা। কিন্তু তেমন বিষ নেই বোলিংয়ে। তেমন কোনও ঝুঁকি না নিয়ে স্কোরবোর্ডে রানের খাতা এগিয়ে চলেছে। রজত পতিদার অপরাজিত ৩৬ রানে। অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব আছেন ৮ নটআউট। উইকেটের খোঁজে বাংলা।
চা পানের বিরতির পর শুরু খেলা। ডান হাতে চোটের জন্য ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে উঠে গেলেন শুভম শর্মা। রজত পতিদারের সঙ্গে নামলেন আদিত্য শ্রীবাস্তব। ওভার শেষ করবেন আকাশদীপ।
তৃতীয় দিনের চা পানের বিরতি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫.৩ ওভারে মধ্যপ্রদেশের স্কোর দু'উইকেটে ৯০ রান। আপাতত ১৫৮ রানে এগিয়ে মধ্য়প্রদেশ। ৩৪ বলে ৩০ রানে অপরাজিত রজত পতিদার। ৯২ বলে ২২ রানে খেলছেন শুভম শর্মা। দ্বিতীয় সেশনে ২৮.৩ ওভারে ৭০ রান দিয়ে দু'উইকেট নিয়েছে বাংলা।
ক্রমশ ম্যাচ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বাংলা। ছন্নছাড়া দেখাচ্ছে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। আপাতত মধ্যপ্রদেশের লিড ১৫৩। হাতে আছে আট উইকেট। প্রথম ইনিংসে লিড থাকায় সারাজীবন ব্যাট করে যেতে চাইবে মধ্য়প্রদেশ। ফলে আক্রমণাত্মক খেলতে হবে বাংলাকে। কিন্তু সেরকম দৃশ্য চোখে পড়ছে না।
কেন যে এতক্ষণ প্রদীপ্ত প্রামাণিককে বল দেওয়া হয়নি সেটা ঈশ্বরনই বলতে পারবেন। কিন্তু তিনি এসেই উইকেট নিলেন। আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন গত ইনিংসে শতরান করা হিমাংশু মন্ত্রী। স্টাম্প আউট হলেন তিনি ব্যক্তিগত ২১ রানের মাথায়। ২৫ ওভার শেষে মধ্যপ্রদেশ ২ উইকেটে ৫৮। ১২৬ রানের লিড। দলের দুই প্রধান ব্যাটার শুভম শর্মা ও রজত পতিদার এখন ক্রিজে। এদের দ্রুত ফেরাতে পারলে ম্যাচে ফিরতে পারে বাংলা।
বাঁ হাতি স্পিনারদের ব্যবহারদের ক্ষেত্রে কি ভুল করছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ? এই ম্যাচে যে দিক থেকে বাঁ হাতি স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন, তার উলটো দিক থেকে শাহবাজ আহমেদ বল করিয়েছেন অভিমন্যু।
মধ্যপ্রদেশের লিড ১০০ ছাড়িয়ে গেল। ক্রমশ চাপ বাড়ছে। চতুর্থ ইনিংসে এই পিচে ব্যাট করা সহজ হবে না বাংলার।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম সাফল্য বাংলার। উইকেট নিলেন মুকেশ কুমার। আউট যশ দুবে (১২ রান)। অফস্টাম্প লাইনের বল ভিতরের দিকে ঢুকে এসে যশের প্যাডে আছড়ে পড়ে। লেগস্টাম্প কি মিস করত? আম্পায়ার যদিও আউট দেন। এটা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুকেশ কুমারের ১০০ তম উইকেট। মধ্যপ্রদেশের স্কোর এক উইকেটে ২৩ রান।
লাঞ্চের পর শুরু খেলা। বল করছেন শাহবাজ আহমেদ। যদিও লাঞ্চের আগে স্পিনারদের বল দেননি বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ।
শতরান করার পরে বিশেষ নোট পকেট থেকে বের করেন মনোজ তিওয়ারি। যা তিনি মাঠে সকলের সামনে তুলে ধরলেন। স্ত্রী'র জন্য মাঠেই দিলেন বিশেষ বার্তা। সাদা কাগজে লেখা, ‘আমি তোমায় ভালোবাসি সুস্মিতা।’ – বিস্তারিত পড়ুন এখানে
তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মধ্যপ্রদেশ ৮৮ রানে এগিয়ে আছে। বাংলা প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে অল-আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাত ওভারে বিনা উইকেটে ২০ রান তুলেছে মধ্যপ্রদেশ। ক্রিজে আছেন যশ দুবে (ন'রান) এবং প্রথম ইনিংসের ‘স্টার’ হিমাংশু মন্ত্রী (সাত রান)।
নতুন বলের ফায়দা যাতে বাংলা না ওঠাতে পারে, তার জন্য একেবারে ধীরে ধীরে ব্যাটিং করছে মধ্যপ্রদেশ। কোনও তাড়াহুড়ো নেই, শুধু নতুন বলের পালিশ ওঠানোই কাজ প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন হিমাংশু মন্ত্রী ও অপর ওপেনার যশ দুবের। পাঁচ ওভার শেষে তাই ১৩-০। বাংলার দুই পেসার মুকেশ ও আকাশ বল করছেন। তাদের থেকে ব্রেক থ্রু-র আশা রাখবে ম্যানেজমেন্ট। বিপক্ষের মতো নতুন বল স্পিনারকে দেওয়ার মতো কোনও চমকের পথে হাঁটল না বাংলা।
তিনটি করে উইকেট নিলেন দুই স্পিনার সারাংশ ও কার্তিকেয়। শুরুতেই ধাক্কা দিয়ে বাংলাকে ব্যাকফুটে ফেলে দেন কার্তিকেয়। সেট মনোজকে আউট করে মধ্যপ্রদেশকে ম্যাচে ফেরান সারাংশ। তিনি নিলেন ১৯ ওভারে ৬৩ রানে ৩ উইকেট। ৩১ ওভার বল করে ৬ রান গলিয়ে ৩টি উইকেট জুটেছে কার্তিকেয়র। পেসার পুনীত দাতেও নিয়েছেন তিন উইকেট ৪৮ রান দিয়ে। বিশেষত শাহবাজকে আউট করে বাংলার আশাভঙ্গ করেন তিনি। বাংলা শেষ পাঁচটি উইকেট হারিয়েছে ৩৬ রানে। অর্থাৎ টেলএন্ডাররা বিশেষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। শেষ বিচারে সেটা কত বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে সেটা দেখার।
বাংলার ব্যাটিং স্কোরকার্ড দেখলে নিশ্চিত ভাবেই খুশি হবেন না কোচ অরুণ লাল। মিডল অর্ডারে মনোজ তেওয়ারি ও শাহবাজ আহমেদ অনবদ্য সেঞ্চুরি করলেন। এছাড়া ২২ করেন অধিনায়ক ঈশ্বরন। বাকিরা দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি। অন্যরা একটু করে করে ভালো খেললেও অনেকটা বেশি স্কোর করতে পারত বাংলা, হয়তো মধ্যপ্রদেশের স্কোরকে টপকেও যেত।
চালাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন আকাশদীপ। তিনি করেছিলেন পাঁচ, বাংলার ইনিংস শেষ হল ২৭৩ রানে। এর মানে হল প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড নিল মধ্যপ্রদেশ। ম্যাচ যদি ড্র হয়ে যায়, তাহলে ফাইনালে চলে যাবে মধ্যপ্রদেশ প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে। বাংলাকে তাই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সরাসরি জয়ের জন্য। মনোজ ও শাহবাজের সৌজন্যে এখনও খেলায় আছে বাংলা। এবার বোলারদের বিশেষত স্পিনারদের ভালো পারফর্ম করার সময়।
১১৬ রান করে আউট শাহবাজ। দাতের ওভারে আট রান এসেছিল কিন্তু কিছুটা বেপরোয়া ভাবে অফের অনেক বাইরের বলে চার মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হলেন। ৮৮ ওভার শেষে বাংলা ২৬৮-৯। ২০৯ বলে ১১৬ করলেন শাহবাজ, মেরেছেন ১৩টি চার। এখনও যদিও ৭৩ রানে পিছিয়ে বাংলা।
তিন রান করেই আউট হলেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। কার্তিকেয়র বলে এলবি হলেন তিনি। যদিও প্রদীপ্ত তেমন খুশি নন সিদ্ধান্তটি নিয়ে। তাঁর মনে হচ্ছিব বলটি হয়তো লেগের বাইরে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু ডিআরএস নেই, তাই ফিরতেই হবে তাঁকে। বাংলা ২৫৬-৮, এখনও ৮৫ রান বাকি মধ্যপ্রদেশের রান ছুঁঁতে।
পয়েন্টে ঠেলে একটি রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন শাহবাজ। কিন্তু রান নিতে রাজি হননি প্রদীপ্ত। রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন শাহবাজ। তারপরেই যদিও মিড অফের পাশ দিয়ে বল ঠেলে দুটি রান নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন শাহবাজ। তারপরেই অনবদ্য চার মারলেন তিনি। ড্রিংকসের সময় বাংলা ৭ উইকেটে ২৫৬-৭
যেই বলটি মধ্যপ্রদেশ বাছাই করে রেখেছিল, সেটা দেননি আম্পায়াররা। সেই নিয়ে সামান্য বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত সেই বলটি খুঁজে পাওয়া গেল তিনটি ডেলিভারির পর থেকে। পরের ওভারটি করলেন অনুভব আগরওয়াল। তাঁর বলে প্রদীপ্তর ক্যাচ স্লিপে ফসকালেন রজত পতিদার। পরপর দুটি ক্যাচ নিলেও এবার মিস হয়ে গেল। ৮২ ওভার শেষে বাংলা ২৪৭-৭
বিপদের সময় জ্বলে উঠলেন মনোজ তেওয়ারি। ১২টি চারের সহযোগে সেঞ্চুরি করলেন মনোজ। নিয়েছেন ২০০ বলের বেশি। কিন্তু সেই নিয়ে তেমন চিন্তিত হবেন না মন্ত্রীমশাই। কারণ বাংলাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন তিনি ও শাহবাজ। সেঞ্চুরি করার পর তাঁর স্ত্রীর জন্য বিশেষ বার্তাও দিলেন মনোজ। ড্রেসিংরুমে তখন হাততালিতে ফেটে পড়ছে গোটা বাংলা দল।
নার্ভাস নাইন্টির কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না মনোজের ব্যাটিংয়ে। গৌরবের বলে এল পরপর দুটো চার। একটি ইয়র্কারকে গ্লান্স করে ফাইন লেগে চার, তারপর কভার দিয়ে আরেকটি বাইন্ডারি। শেষ বলে সিঙ্গল নিয়ে ৯৯-তে গেলেন মনোজ।
এই ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে সফল বোলার কার্তিকেয়কে এবার নিয়ে এসেছে তারা। দেখা যাক উইকেট পড়ে কিনা। বাংলা ২২২-৫
৩২ ওভার পর অবশেষে মেডেন এল বাংলার ইনিংসে। গৌরবের বলে কোনও রান করতে পারলেন না মনোজ। বলে বেশ কিছুটা গতি আনতে পেরেছেন গৌরব, শর্ট বলে কিছুটা হলেও বিপাকে ফেললেন মন্ত্রীমশাইকে।
বৃহস্পতিবার সকালেও বেশ সহজে খেলছেন শাহবাজ ও মনোজ। কিছুটা হলেও বোলারের দিকে এগিয়ে এসে সুইংটা মোকাবিলা করছেন মনোজ। গৌরবের বলে পরপর দুটি চার মারলেন শাহবাজ। তার মধ্যে একটিতে চার ওভার থ্রো পেলেন তিনি। ৭০ ওভার শেষে ২১৯-৫। মনোজ ৯০ ও শাহবাজ ৮৩ রানে নট আউট।
সকালে পিচে যে তাজা ভাব থাকে, সেটা ব্যবহার করতেই সম্ভবত পুনীত ও গৌরবকে বল করাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশ ক্যাপ্টেন। খুব সাবধানে খেলছেন মনোজ ও শাহবাজ। মনোজের ব্যাটে হালকা এজ লেগে ২০০ পেরিয়ে গেল বাংলা।
বাংলার ক্ষেত্রে যেমন পেসাররা বেশি বেশি করে বল করেছিলেন, মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে আবার উল্টো। ৬৬ ওভারের মধ্যে ৪১ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন স্পিনাররা। ২৫ ওভার বল করেছেন কার্তিকেয় যিনি তাঁর প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট নিয়ে বাংলাকে চাপে ফেলেছিলেন। তারপর থেকে যদিও কোনও উইকেট পাননি, কিন্তু টাইট বোলিং করে চাপটা হালকাও হতে দেননি এই বাঁ-হাতি স্পিনার। অপর স্পিনার সারাংশ জৈন পেয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট। তিনি বল করেছেন ১৬ ওভার। তবে সেই ভিত্তিতে বিচার করলে সবচেয়ে সফল পুনীত দাতে। মাত্র নয় ওভার বল করেছেন তিনি। নিয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন ও অভিষেক পোরেলের উইকেট। দ্বিতীয় নতুন বল দাতেকে দেওয়া হয় কিনা, সেটা দেখার। প্রথম নতুন বল যেমন স্পিনাররা পেয়েছিলেন ও বড় সাফল্যও এনে দিয়েছিলেন দলকে।
গতকাল বাংলার প্লেয়াররা অধিকাংশই আউট হয়েছেন এমন বলে যেখানে তেমন কোনও বিষ ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই একটু লুজ শট খেলে তারা আউট হয়েছেন। শুধু সুদীপের ক্ষেত্রে বলটা পিচ করে বেশ শার্প টার্ন নেয়। কিন্তু অন্যরা একটু আটোসাঁটো রক্ষণ নিয়ে খেললে হয়তো আউট হতেন না। তাই এমন নয় যে এই পিচে টেকা যায় না। তাই প্রথম ইনিংসে লিড যে দল পাবে তাদের বড় সুবিধা হবে। কারণ ম্যাচে যে সরাসরি ফল আসবে, এমন কেউ হলফ করে বলতে পারে না।
প্রথম সেশনটি নিশ্চিত ভাবেই বাংলা চাইবে কোনও উইকেট না হারাতে। ১৪ ওভার পর নতুন বল নেওয়া হবে তাই সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে বাংলাকে। ইতিমধ্যেই পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছে তাই খুব বেশি ব্যাটিং অবশিষ্ট নেই। মনোজ ৮৪ ও শাহবাজ ৭২ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনেই নয়টি করে চার মেরেছেন। খুব সম্ভবত দিনের শুরুটা করবেন মধ্যপ্রদেশের দুই স্পিনার কার্তিকেয় ও সারাংশ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus