ভালো নেই মাইকেল শুমাখার, উদ্বেগ বাড়িয়ে খারাপ আপডেট দিলেন বন্ধু ভেটেল

শুভব্রত মুখার্জি:- ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের নাম সামনে আসলেই যে নামটা সবার আগে সামনে চলে আসে সেটি হল মাইকেল শুমাখার। জার্মানির এই কিংবদন্তি চালক একটা সময়ে রেসিং ট্র্যাককে রীতিমতো শাসন করেছেন। গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে গতির ঝড় তুলেছেন। রেসিং ট্র্যাকের গতিময় জীবন তার জীবনে কোন বিপদ কোনও দিন ডেকে আনেনি। তবে তাঁর এক অন্য শখ তাঁর জীবনে যেন অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে। বরফে ঢাকা পাহাড়ের গায়ে স্কিয়িং করা ছিল তাঁর নেশা। আর সেই স্কিয়িং করতে গিয়েই অত্যন্ত খারাপভাবে মাথায় আঘাত পান শুমাখার। কোমায় চলে যান তিনি। সম্প্রতি ২৯ ডিসেম্বর তাঁর সেই দুর্ঘটনার দশম বার্ষিকী ছিল। আর সেই দিনেই তাঁর বন্ধু সেবাস্তিয়ান ভেটেল এমন একটি খবর শুনিয়েছেন যাতে তাঁর ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়বে।ভেটেল এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন শুমাখার ভালো নেই। বলা যায় একেবারেই ভালো নেই শুমাখার। ফ্রেঞ্চ আল্পে তিনি স্কিয়িং করার সময়ে চোট পান। সেই ঘটনার পর থেকে আজ অব্দি জনসমক্ষে আসেননি। ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত তাঁকে ' মেডিক্যালি ইনডিউশড কোমাতে' রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ ওষুধপত্রের মধ্যে দিয়ে এক কৃত্রিম কোমাতে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁর একাধিক সার্জারি হয়েছে। এরপর গ্রেনবেলের হাসপাতাল থেকে তাঁকে অন্যত্র সরানোও হয়। লঁসান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় ২০১৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে।সেবাস্তিয়ান ভেটেল হলেন শুমাখারের খুব কাছের বন্ধু। ফেরারি, রেড বুলের মতন দলে সতীর্থও ছিলেন তারা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শুমাখার একেবারেই ভালো নেই। প্রায় এক দশক অতিক্রান্ত। জনসমক্ষে আসেননি মাইকেল শুমাখার। কিংবদন্তি ফর্মুলা ওয়ান তারকা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চলেছেন প্রায় এক দশক ধরে। ভেটেল জানিয়েছেন, ‘অবস্থা এখনও খুব কঠিন রয়েছে। আমি এখনও এটা মেনে নিতে পারছি না। শুমাখার এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ওঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমি ওঁকে সেরাটার জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি মনে করি কিছু কিছু সময় চুপ থাকাটাও জরুরী।’প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে স্কি করতে গিয়ে গুরুতর জখম হন শুমাখার। মস্তিষ্ক চোট পান তিনি। এরপর থেকে সুইজারল্যান্ডে সকলের আড়ালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৪ বছর বয়সী এই তারকা চালক। শুমাখারের আইনজীবী ফেলিক্স ড্যাম জানান, ব্যক্তিগত বিষয় সামনে আনতে চায় না তাঁর পরিবার। তাই ৭ বারের চ্যাম্পিয়নের শারীরিক অবস্থার সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাচ্ছে না।ফেলিক্স আরও জানান, একবার চূড়ান্ত রিপোর্ট সামনে এলেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে শুমাখারের পরিবারকে। সবমিলিয়ে পরিবারের উপর আরও মানসিক চাপ তৈরি হবে। সেই কারণেই পুরো ব্যাপারটা গোপন রাখতে চান তাঁরা।