Gujarat Titans vs Rajasthan Royals: সঞ্জু স্যামসনকে কথার লড়াইয়ে জড়ানোর চেষ্টা করেন হার্দিক পান্ডিয়া। রাজস্থান দলনায়ক ব্যাট হাতে জবাব দেন। বাকিটা ইতিহাস।
সঞ্জু স্যামসন ও হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি- টুইটার।
হতে পারে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় হার্দিক পান্ডিয়া ও সঞ্জু স্যামসন অত্যন্ত ভালো বন্ধু। তবে আইপিএলের আঙিনায় যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ শিবিরের কাণ্ডারী তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার মানসিকতা চোখে পড়ে দুই ভারতীয় তারকার মধ্যে।
লড়াকু মেজাজের দুই ক্রিকেটারের মধ্যে সব থেকে বড় তফাৎ যে শরীরিভাষার, সেটা বোঝা যায় আমদাবাদে। হার্দিক ক্যাপ্টেন হিসেবে সদা সক্রিয়। সঞ্জু সেখানে নিঃশব্দে দল পরিচালনা করতে পছন্দ করেন। এমনকি ব্যাট হাতে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের ক্ষেত্রেও স্যামসন ঠান্ডা মাথার খুনে মেজাজের।
স্যামসনের এই বিশেষ দিকটির কথা ভালো মতোই জানেন হার্দিক পান্ডিয়া। তা সত্ত্বেও তিনি সঞ্জুকে ঘাঁটিয়ে বিপদ ডেকে আনেন নিজের দলের। আসলে গুজরাটের ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস একসময় ১০.৩ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান শিবির যখন প্রবল চাপে, হার্দিক বাড়তি আগ্রাসী হয়ে স্লেজিং করে বসেন স্যামসনকে।
হার্দিকের স্লেজিয়ের জবাব মুখে নয়, বরং ব্যাট হাতে দেওয়াই মনস্থির করেন স্যামসন। পান্ডিয়ার খোঁচা খেয়ে ঠিক তার পরেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন স্যামসন। তিনি গুজরাট শিবিরের সেরা বোলার রশিদ খানকেই এক ওভারে পরপর ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে হার্দিকদের মনোবলে ধাক্কা দেন। শেষমেশ সঞ্জু ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৬০ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ক্যাপ্টেনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন রাজস্থানের ক্যারিবিয়ান তারকা শিমরন হেতমায়ের।
রবিবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাট টাইটানসকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে। শুভমন গিল ৩৪ বলে ৪৫ রান করেন। ৩০ বলে ৪৬ রান করেন ডেভিড মিলার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।