চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে বড় অঘটনটা ঘটতে চলেছে। ব্রুগের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছেড়েছিল পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দলের ছেলেরা। সেই সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লাইভ পয়েন্ট টেবিলে তাদের স্থান ছিল ২৭। অর্থাৎ ম্যাচ জিততে না পারলে বিদায় নিশ্চিত। তবে শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচে জয় পায় সিটি। এই মরশুমে এমনিও খুব একটা ভালো ফুটবল খেলছেন না হালান্ডরা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ - সব জায়গায় একাধিক ম্যাচ হেরে বেশ বেকায়দায় ম্যানচেস্টারের এই ক্লাবটি। বিগত কয়েকটি মরশুমে গুয়ার্দিওয়ালার হাত ধরে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছিল ম্যান সিটি। তবে এই মরশুমে নিতান্তই হতাশ করেছে তারা।
এদিন ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মরণ বাঁচন ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল তারা। ১৬ মিনিটে বল জালে জড়িয়েছিলেন ইলকাই গুন্দোয়ান। তবে সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে সিটির আক্রমণ সামলে প্রতি-আক্রমণটা ভালোই করছিল ব্রুগ। সেরকমই একটা আক্রমণ থেকে ৪৫ মিনিটে গোল করে যান রাফায়েল ওনেইদিকা। ফলে ১-০ পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়তে হয় হালান্ডদের। সেই সময় ইতিহাদে উপস্থিত ম্যানচেস্টার সিটির ভক্তদের মুখ ম্লান হয়ে গেছে। হয়তো অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিশ্চিত ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ধরা দেয় অন্য ম্যানচেস্টার সিটি। পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন কোচ। যার ফল পান হাতেনাতে। অসাধারণ গোল করে ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরান কোভাচিচ। তবে ড্র করলে কাজের কাজ হবে না সেটা ভালোই জানত সিটির ফুটবলাররা। সেই কারণে জয়ের জন্য মরিয়া লড়াই শুরু করেন। আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তাঁরা। যার ফল পায় ৬২ মিনিটে, সিটির আক্রমণের চাপ সামলাতে না পেরে নিজেদের জালেই বল জড়ায় ব্রুগ। এরপর ৭৭ মিনিটে গোল করে ম্যানচেস্টার সিটির জয় নিশ্চিত করেন সাভিনহো।
এদিনের জয়ের ফলে ২২ নম্বরে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব শেষ করল ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে ম্যাচ হারলেও শেষ দল হিসেবে অর্থাৎ ২৪ নম্বরে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ব্রুগ। শেষ ষোলোয় জায়গা পেতে হলে তাদের খেলতে হবে দুটি ম্যাচ। প্লে অফের ড্র হবে আগামী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। আর ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে।
সরাসরি শেষ ষোলোয় গেছে যেই দলগুলি:
লিভারপুল, বার্সেলোনা, অ্যাস্টন ভিলা, লিলি, বেয়ার লেভারকুসেন, ইন্টার মিলান, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং আর্সেনাল।
প্লে অফ খেলবে যারা:
আটলান্টা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, পিএসভি এইনডেভোন, পিএসজি, বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ট, ফেনর্ড, জুভেন্টাস, সেল্টিক, ম্যানচেস্টার সিটি, স্পোর্টিং সিপি, ব্রুগ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।