
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
'মা-মা, বাবা-বাবা, আমি এবার অঙ্কে ১০০-র মধ্যে শূন্য পেয়েছি। কিন্তু এবার হায়েস্ট উঠেছে ৫০'- ছোটবেলায় স্কুলজীবনে অনেক সময় নিজেদের পিঠ বাঁচাতে যেমন ঠুনকো যুক্তি দেয় কোনও কোনও পড়ুয়া, ঠিক সেরকমই যুক্তি দর্শালেন ৫৬ বছরের ‘তরুণ’ ইগর স্টিম্যাচ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারত যে হেরে গিয়েছিল, তা নিয়ে প্রাক্তন হেড কোচের মধ্যে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ দেখা গেল না। উলটে গলা চড়িয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নাম না করে ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপার দাবি করলেন, ভারতীয় ক্লাবগুলো তো বাংলাদেশ এবং মলদ্বীপের ক্লাব দলকে হারাতে পারে না। তাহলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল হেরে যাওয়ায় অবাক হওয়ার কী আছে? ওদের তো বিদেশিও আছে।
১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নের বিশ্বকাপ দলের সদস্য স্টিম্যাচের কথায়, ‘(আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায়) অবাক হওয়ার কী আছে? জাতীয় দলে মোটেও বিদেশি খেলোয়াড়রা থাকে না। কিন্তু ক্লাবে বিদেশিরা থাকে।’
আর স্টিম্যাচের সেই যুক্তি শুনে ‘কিডনিতে হার্ট-অ্যাটাক’ হয়ে যাওয়ার দশা হয়েছে ভারতীয় ফুটবল সমর্থকদের। স্টিম্যাচ সরাসরি মোহনবাগান বা ওড়িশা এফসির নাম না করলেও সবুজ-মেরুন ব্রিগেড এবং ওড়িশার দিকেই যে তাঁর তির ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি সংশ্লিষ্ট মহলের। কিন্তু প্রশ্নটা উঠছে অন্য জায়গায়। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, স্টিম্যাচ কি আদৌও জানেন যে কোন পরিস্থিতিতে কী হয়েছিল? নাকি শুধু নিজের পিঠ বাঁচাতে কিছু একটা বলতে হবে বলে স্রেফ বলে দিয়েছেন?
বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ঢাকায় গিয়ে হেরেছিল মোহনবাগান এবং ওড়িশা। মোহনবাগান ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল। ওড়িশা হেরেছিল ২-৩ গোলে। আর সেখানে বড় অভিযোগ উঠেছিল ঢাকার মাঠ নিয়ে। অযোগ্য মাঠে ম্যাচ করানোর অভিযোগ উঠেছিল। আর ‘অযোগ্য মাঠে’ তিনটি ম্যাচে জিতেও যে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি বসুন্ধরা। ফলে সেই বসুন্ধরার মান যে ভালো, সেটা বুক ঠুকে কেউ বলতে পারবেন না।
অন্যদিকে, ঘরের মাঠে বসুন্ধরাকে হারিয়ে দিয়েছিল ওড়িশা। জিতেছিল ১-০ গোলে। আর মোহনবাগান ১-১ গোলে ড্র করেছিল। ‘ঘরের মাঠ’ হলেও মোহনবাগানকে সেই ম্যাচটা ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে খেলতে হয়েছিল। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন ম্যাচ পড়ায় কলকাতার যুবভারতীতে ম্যাচ করা যায়নি।
অর্থাৎ ঢাকার ‘অযোগ্য’ মাঠে গিয়ে বংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরার বিরুদ্ধে হেরেছিল মোহনবাগান এবং ওড়িশা। আর চরম ‘ফ্লপ’ স্টিম্যাচ যে আফগানিস্তান ম্যাচের কথা বলছেন, সেটা ভারতের হোম ম্যাচ ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ফুটবলে যে হোম ম্যাচ এবং অ্যাওয়ে ম্যাচের মধ্যে একটা আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকে, সেটা একটা বাচ্চাও জানে। স্টিম্যাচ তো অতি অবশ্যই জানেন।
মলদ্বীপে গিয়ে মাজিয়াকে হারিয়ে দিয়ে এসেছিল ওড়িশা। জিতেছিল ৩-২ গোলে। আর ঘরের মাঠে ৬-১ গোলে ধ্বংস করেছিল। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে ২-১ গোলে মাজিয়াকে হারিয়েছিল মোহনবাগান। মলদ্বীপে গিয়ে ০-১ গোলে হেরে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'কল্যাণ যত দ্রুত বিদায় হবে ততই মঙ্গল, মিথ্যা শুনে শুনে তিতিবিরক্ত',বিস্ফোরক স্টিম্যাচ
আর মোহনবাগান মলদ্বীপে যে দলকে পাঠিয়েছিল, সেটা সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কার্যত তৃতীয় সারির দল ছিল। এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় আইএসএলের উপর মনোনিবেশ করে মলদ্বীপে দুর্বল দলকে পাঠিয়েছিল মোহনবাগান। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, স্টিম্যাচ কি আদৌও সেটা জানতেন? নাকি তিনি আশা করেন, তিনি যে দেশের কোচিং করাচ্ছেন, সেই দেশের ক্লাবগুলি চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ সারির দল নিয়েও বিদেশি ক্লাবকে হারিয়ে দেবে? আর তিনি নিজের প্রথম সারির দল নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে বহু পিছিয়ে থাকা দলকে হারাতে পারবে না?
উত্তরটা শুধুমাত্র স্টিম্যাচেরই জানা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports