কলকাতা ফুটবল লিগের জন্য কদিন আগেই বৈঠকে বসেছিল আইএফএ। সেখানেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিটা দলে ৫ জন করে ভূমিপুত্র খেলানোর নিয়ম বলবৎ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই মরশুম থেকে প্রতি দলেই ভূমিপুত্রের সংখ্যা গতবারের থেকে বাড়িয়ে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। গতবার পর্যন্ত ম্যাচে চার ভূমিপুত্রকে খেলানো বাধ্যতামুলক ছিল. কিন্তু আইএফএফ-র এই পদক্ষেপে খশি নয় বাংলাপক্ষ। তাঁরা কমপক্ষে ৯ জন ভূমিপুত্রকে দলে রাখার দাবিতে IFA এর সামনে বিক্ষোভ দেখাল।
কিছুদিন আগে ক্রীড়ামন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছিলেন যদি কলকাতা লিগে বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা বাড়িয়ে ১১জন করা যায়। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা ফুটবল দলের সাফল্যের পর সঞ্জয় সেনের দলের ছেলেদের রাজ্য সরকারের তরফে চাকরি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে ফুটবলাররা আর্থিক সংকটে না ভোগেন।
বাঙালি ফুটবলার খেলানোর দাবিতে ডেপুটেশন জমা
এবার আইএফএ-র সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে বাংলাপক্ষ দাবি তুলল, যাতে প্রতি দলে কমপক্ষে ৯জন করে বাঙালি ফুটবলারকে খেলানো বাধ্যতামুলক করা হয়। অর্থাৎ ২জনের বেশি ভিন রাজ্যের ফুটবলারকে যাতে লিগে খেলার সুযোগ না দেওয়া হয় প্রতি ম্যাচে। অনেকে ভিন রাজ্যের ফুটবলারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে তাঁরা ঠিকানা জালিয়াতি করে বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার হিসাবে লিগে খেলে। এই অভিযোগ অবশ্য স্রেফ ফুটবলে নয়, ক্রিকেটেও আছে।
আইএফএ অফিসের বাইরে বিক্ষোভ বাংলাপক্ষের
কিন্তু ফুটবলে আধার কার্ডে কারচুপি করলে যাতে সেই ফুুটবলারকে নির্বাসিত করা হয়, সেই দাবিও তুলল বাংলাপক্ষ। এদিন আইএফএ অফিসের বাইরে বিক্ষোভের পর তাঁরা আইএফএ-তে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন। তবে আইএফএ-র পক্ষেও বাস্তবে ৯জন ভূমিপুত্রে খেলানোর নিয়ম জারি করা সম্ভব নয়, কারণ অনেক ক্লাবই এর বিরোধিতা করেছে।
বাঙালি ফুটবলার খেলানোর দাবি বাংলাপক্ষের
বাংলাপক্ষের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, “অন্য রাজ্যের ফুটবলাররা বাংলায় খেলতে আসলে, আমাদের রাজ্যের ফুটবলারদের খেলায় উন্নতি হবে, এটা হাস্যকর যুক্তি। গত ৩০ বছর ধরে একই যুক্তি শুনছি এবং এভাবেই বাইরের ফুটবলারদের খেলানোর রমরমা বেড়েই চলেছে। এতে বাঙালির ফুটবলের অবনতি হচ্ছে। বাঙালি ফুটবলাররা চান্স পাচ্ছে না নিজের রাজ্যের লিগেই খেলায়৷ যখন শুধুমাত্র বাংলার ফুটবলাররাই কলকাতা লিগের দলে খেলত তখন বাংলা প্রায়শই সন্তোষ ট্রফি জিততো আর ভারতীয় দলেও কমপক্ষে ৭-৮ জন বাঙালি ফুটবলার খেলতো৷ বর্তমানে আইএসএলে বাঙালি ফুটবলাররা বঞ্চিত, কলকাতা ডার্বিতে বাঙালি নেই (শুভাশিস বোস, সৌভিক চক্রবর্তি, সায়ন ব্যানার্জি, দীপেন্দু বিশ্বাসরা খেলেন)। এরপর কি CFL এও বাঙালি ফুটবলার খুঁজে পাওয়া যাবে না? বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে এবং ভূমিপুত্র ফুটবলার তুলে আনতে IFA কে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে, এটাই আমাদের দাবি।"
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।