
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
গতকাল পটনায় বিরোধীদের হাই ভোল্টেজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৭টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা সেই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমাররা ছিলেন। তাছাড়াও ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, বাম দলগুলির প্রধানরা। বৈঠক শেষে সবাই জানান যে বিজেপিকে হারাতে একসঙ্গে লড়তে চলেছে সবাই। তবে আসন বণ্টন বা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য হচ্ছে না এখনও। এরই মাঝে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে মুখ খোলেন স্ট্যালিন। (আরও পড়ুন: 'আমার যত রক্ত বইবে, বয়ে যাক...নাহলে ভারত থাকবে না', বার্তা মমতার)
জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত ফ্রন্টের কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়েছে গতকালকের বৈঠকে। জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে আবার বৈঠক হবে বিরোধীদের। সেই বৈঠক হবে শিমলায়। সেখানে আরও বেশ কয়েকটি দলের যোগ দেওয়ার কথা। সূত্রের খবর, সেখানে বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এরই মাঝে বিরোধী জোটের আহ্বায়ক হিসেবে নাম উঠে আসছে নীতীশ কুমারের। পটনার বৈঠকও তাঁর আহ্বানেই আয়োজিত হয়েছিল। এদিকে পটনায় বিরোধীদের বৈঠক ডাকার জন্য নীতীশ কুমারকে প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জোটের আহ্বায়ক হিসেবে মমতার পালে হাওয়া কম। কারণ, তিনি কংগ্রেস ও বামেদের বিরোধিতায় সরব থাকেন। এরই মাঝে জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি অ-কংগ্রেসি কাউকে জোটের মুখ করা হবে? জোটের আহ্বায়ক হলে তি নীতীশ কুমারই বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন? এই নিয়ে মুখ খুললেন স্ট্যালিন।
এমকে স্ট্যালিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পটনার বৈঠকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আসন বণ্টন নিয়ে প্রাথমিক একটি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্ট্যালিন জানান, যে রাজ্যে যে দলের শক্তি বেশি, সেই দলের নেতৃত্বে জোট হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আসন ভাগাভাগিও হতে পারে। এদিকে তিনি আরও জানান, ভোট পরবর্তী জোটের পক্ষে মত দেয়নি বেশিরভাগ দল। সব দল মিলে প্রতিটি আসনে একজন করে প্রার্থী দাঁড় করানোর পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে। পাশাপাশি জোটের তরফে সম্মিলিত ভাবে ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান স্ট্যালিন। এদিকে সট্যালিন একথা বলেছেন ঠিকই, তবে তা নিয়ে ধন্দ থাকছে। কারণ কেরল বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে কী হবে? বাংলায় কি বাম-কংগ্রেস তৃণমূলকে জায়গা ছেড়ে দেবে? কেরলে কি বামেরা কংগ্রেসকে আসন ছাড়বে? তা না হলে কি এই সব রাজ্যে বিরোধী জোটের দলগুলি নিজেদের মধ্যে 'বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা' করবে? তাহলে আর জোটের লাভ কি হবে? এতে তো ভোট কাটাকাটিতে সেই বিজেপিরই লাভ হবে। এই নিয়ে পরবর্তীতে বিরোধীরা মন্থন করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports