'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সম্পর্কের উৎস হল পারস্পারিক শ্রদ্ধা।' প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির মুখে বার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস।সারা বিশ্বে যে ১৫টি দেশ এখনও ব্রিটেনের রাজাকে নিজেদের দেশের সর্বোচ্চ প্রধান হিসেবে মানে কানাডা তারমধ্যে অন্যতম। এবার সেই কানাডায় গেলেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী রানি ক্যামিলা-ও। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই পড়শি কানাডার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে।এই আবহে ব্রিটেনের রাজার সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার ব্রিটেনের রাজার অটোয়ার পার্লামেন্টে আসার সিদ্ধান্তকে কানাডার প্রতি সমর্থনের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।ভাষণে রাজা বলেন, কানাডার সরকার বিশ্বজুড়ে তার বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে শক্তিশালী করতে কাজ করছে।তাঁর কথায়, 'এটিই বলে দেয় বিশ্বের যা প্রয়োজন এবং বিশ্ব যে মূল্যবোধগুলোকে সম্মান করে কানাডার তা আছে। আজ কানাডা আরেকটি সংকটময় সময় মোকাবিলা করছে। গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, আইনের শাসন, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও মুক্তির মতো মুল্যবোধগুলোর সুরক্ষায় সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।' রাজা চার্লস বলেন, 'কানাডা নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। অনেক কানাডিয়ান উদ্বিগ্ন। এরপরেও এই মুহূর্তটি একটি চমৎকার সুযোগও। নবায়নের সুযোগ। বড় চিন্তা করার এবং বড় দায়িত্ব পালনের সুযোগ।' 'এই নতুন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে কানাডা এখন প্রস্তুত,' বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-আমেিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য হবে কানাডা? ফের প্রস্তাব ট্রাম্পের, সঙ্গে রয়েছে গোল্ডেন ডোম ‘টোপ’
রাজা চার্লস বলেন, সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে জোট গড়তে কানাডা এখন প্রস্তুত, যা তার মূল্যবোধের অংশ, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় এবং পণ্য, সেবা ও আইডিয়ার মুক্ত ও খোলা বিনিময়ে বিশ্বাস করে।তিনি আরও বলেন, রেডিও কানাডার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষা দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কানাডার প্রকৃতিকে আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেবে।কানাডার বাসস্থান সংকট নিয়েও রাজা তার ভাষণে মন্তব্য করেছেন। এটি এবারের নির্বাচনে দেশটিতে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল।এরপর তিনি আরেকটি বড় ইস্যু- সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা বলেছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের কাছেও একটি বড় ইস্যু। কানাডার পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর অন্যতম কারণও এটি।
আরও পড়ুন-আমেিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য হবে কানাডা? ফের প্রস্তাব ট্রাম্পের, সঙ্গে রয়েছে গোল্ডেন ডোম ‘টোপ’
রাজা বলেন, কানাডার সীমান্ত শক্তিশালী করতে সরকার আইন করবে। আইন প্রয়োগকারীরা নতুন নতুন উপকরণ পাবেন। সশস্ত্র বাহিনীকে পুনর্গঠন করে সরকার 'কানাডার সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা' নিশ্চিত করবে।বাণিজ্য বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা প্রবৃদ্ধির নতুন যুগের উন্মোচন করবো যা শুধু বাণিজ্য যুদ্ধে টিকে থাকাই নিশ্চিত করবে না, বরং আগের যে কোনে সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করবে।'