বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের রকেটে আবার বিপত্তি। মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছে মাস্কের সংস্থার তৈরি ‘স্টারশিপ’। যার জেরে বড় ধাক্কা খেল স্পেসএক্সের স্টারশিপ প্রোগ্রাম। বুধবার নবম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রকেটটি।এরপর তা ভেঙে পড়ে ভারত মহাসাগরের উপর। স্টারশিপের উপরের স্তরটি প্রবল ভাবে ঘুরপাক খেতে খেতে সমুদ্রে আছড়ে পড়ে।আর ইতিমধ্যে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-'ভয় পাওয়ার কিছু নেই!' হার্ভার্ডকে ফের অনুদান বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশযানটি থেকে জ্বালানি লিকের কারণেই ঘটে থাকতে পারে এই দুর্ঘটনা। ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ঘুরতে থাকে রকেটটি। এক পর্যায়ে ঘটে বিস্ফোরণ। আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্পেসএক্স কর্তৃপক্ষ।জানা গেছে, টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল স্টারশিপকে। তাতে ছিল ৮টি স্টারলিঙ্ক সিমুলেটর স্যাটেলাইট। কিন্তু স্যাটেলাইটগুলিকে পৃথিবীর কক্ষপথে ছাড়ার আগেই স্পেশএক্সের জ্বালানি লিক করতে শুরু করে। ১২৩ মিটার (৪০৩ ফুট) দীর্ঘ এই মহাকাশযানটি আগের সব পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের তুলনায় অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। তবে এটি সফলভাবে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। এ নিয়ে চলতি বছরে ২ বার স্পেশএক্সের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হল। এর আগে রকেটের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলমাল হওয়ায় তা মাঝ আকাশে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-'ভয় পাওয়ার কিছু নেই!' হার্ভার্ডকে ফের অনুদান বন্ধের হুমকি ট্রাম্পের
স্পেসএক্স সাধারণত টেস্ট ফ্লাইটগুলিকে গবেষণার সাফল্য হিসেবে উপস্থাপন করে। এক্স পোস্টে সংস্থা বলেছে, ‘এই ধরনের টেস্টে সাফল্য নির্ভর করে আমরা কী শিখলাম তার ওপর।’তবে, স্টারশিপ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট মাইলফলক অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেমন মহাকাশে নকল স্যাটেলাইট মোতায়েন করা এবং ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার চেষ্টা।এখনও পর্যন্ত স্টারশিপের মোট ৯টি ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এরমধ্যে চারটি আংশিক সফল হলেও চারটি ফ্লাইট ভেঙে পড়েছে। স্পেসএক্স-এর মতে, তাদের ‘ফেইল ফাস্ট, লার্ন ফাস্ট’ নীতির কারণেই তারা দ্রুত উন্নতির পথে এগোচ্ছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, স্পেসএক্স কোম্পানি নিজেই এই খরচ বহন করে। যদিও নাসা চাঁদে নভোচারী অবতরণের জন্য স্টারশিপ প্রোগ্রামে স্পেসএক্সকে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, এই অর্থ বিভিন্ন মাইলফলক অর্জনের পর ধাপে ধাপে দেওয়া হয়। স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, প্রতিটি স্টারশিপ টেস্ট ফ্লাইটের খরচ প্রায় ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার।