শুল্ক যুদ্ধে যুযুধান দুই প্রতিবেশী। কানাডিয়ান ধাতুর উপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মাঝে কানাডাক প্রধানমন্ত্রী হতে চলা মার্ক কার্নি বললেন যে তাঁর সরকার পালটা শুল্ক বহাল রাখবে এবং নিশ্চিত করবে যাতে 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর যেন সর্বাধিক প্রভাব পড়ে'। যতদিন না আমেরিকা 'সম্মান দেখাচ্ছে এবং ন্যায্য বাণিজ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছে', ততদিন এই কড়া অবস্থান জারি থাকবে বলে দাবি করেছেন মার্ক। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, এই বাণিজ্য লড়াই জারি থাকবে ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প এবং ‘অর্থনীতিবিদ’ মার্কের মধ্যে। (আরও পড়ুন: স্ত্রী ঊষাকে নিয়ে ভারতে আসছেন US ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স, শুল্ক জট কি কাটবে?)
আরও পড়ুন: মস্কোতে ড্রোন হামলা চালানোর পর 'ভদ্র ছেলের' মতো আমেরিকার কথা মেনে নিল ইউক্রেন
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকায় বিদ্যুৎ রফতানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ওন্টারিও। এর জবাবে কানাডার ধাতুর ওপরে ওপরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে সেই হার ৫০-এ নিয়ে দাঁড় করিয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশ্য, ওন্টারিও প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড ১১ মার্চ ঘোষণা করেন, বিদ্যুতের ওপর ধার্য শুল্ক আপাতত স্থগিত থাকবে। তিনি দাবি করেন, এই সপ্তাহের মধ্যে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে ওন্টারিও বিদ্যুতের ওপর শুল্ক ধার্য করায় ট্রাম্প পালটা বলেছিলেন, 'কানাডার গাড়ি, বিদ্যুৎ কিছুই আমাদের চাই না।' (আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান ঘিরে জল্পনা, বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
আরও পড়ুন: উদ্ধার শতাধিক যাত্রী, পাক ট্রেন হাইজ্যাক কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে ১৬ বালোচ যোদ্ধার
ফোর্ড জানান, মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লাটনিক নাকি তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন। এই আবহে ফোর্ড বলেন, 'এখন দুই পক্ষই খুবই উত্তেজিত আছে। তবে যখন বিপরীত দিক থেকে কেউ শান্তির বার্তা দেয়, তাহলে ওন্টারিওর প্রিমিয়ার হিসেবে আমি তা গ্রহণ না করে পারব না।' ফোর্ড জানান, তিনি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন যাবেন ফেডারেল অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লে ব্লঁ-এর সঙ্গে। সেখানে তিনি হাওয়ার্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন। (আরও পড়ুন: ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে 'উল্লাস' করায় যুবকদের মাথা ন্যাড়া করাল পুলিশ)
অবৈধ অভিবাসন ও ফেন্টানিল পাচার নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগের কারণে ওয়াশিংটন কানাডা থেকে জ্বালানি আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য বেশ কিছু পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা করেছিল। ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন প্রসাধনী, যন্ত্রপাতি, টায়ার, ফল এবং ওয়াইন সহ ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের মার্কিন আমদানিতে তাৎক্ষণিক ভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রুডো সরকার। প্রয়োজনে ২১ দিনের মধ্যে আরও ১২৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন ট্রুডো। পরে অবশ্য কানাডা 'শান্ত' হয়। তবে ট্রুডোর উত্তরসূরি মার্ক কার্নি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আমেরিকা যদি শুল্ক জুজু দেখায়, তাহলে তাঁর সরকার চুপ করে থাকবে না।