1 মিনিটে পড়ুন Updated: 15 Mar 2024, 09:52 AM ISTMD Aslam Hossain
করেছে। মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘১১ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই আইন কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
Ad
সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন ও জাতিসংঘ। প্রতীকী ছবি
সোমবার থেকে সারাদেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। এই আইন কার্যকর হতেই যেমন একদিকে বহু মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন, অন্যদিকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন অনেকেই। আর এবার সিএএ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ। এই আইনটিকে ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ।
এবিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সিএএ মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।’ তিনি আরও জানান, এই আইনের প্রয়োগের নিয়ম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘১১ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই আইন কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’ তিনি জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য আইনের অধীনে সমান আচরণ মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি। সেই নীতি ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার একটি দেশ হল ভারত। এই আইনের ফলে মুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্য করা হতে পারে। কেউ কেউ আবার আশঙ্কা করছেন, সরকার কিছু সীমান্তবর্তী রাজ্যে কাগজপত্র বহু মুসলমানকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করতে পারে।