পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জবাব ভারতীয় সেনাবাহিনী দিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান করে। এবার পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা দেশে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জাপান সফর শেষ করে সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে এবার পৌঁছে গিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সেখানেও নানা কর্মকাণ্ডে জড়ালেন নিজেকে। দেশপ্রেম যে তাঁর হৃদয়ে আছে সেটাও বোঝালেন।
সিঙ্গাপুরে পৌঁছে আইএনএ মেমোরিয়াল থেকে শুরু করে রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তারপর সেখান থেকে ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতা পোস্ট করলেন। ফেসবুক পোস্টে অভিষেক লিখেছেন, ‘আজ, সিঙ্গাপুরের এসপ্ল্যানেড পার্কে আইএনএ মেমোরিয়ালে, আমি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আন্তরিকভাবে স্মরণ করছি। একজন শীর্ষ রাষ্ট্রনায়ক, নির্ভীক দেশপ্রেমিক এবং ভারতের স্বাধীনতার সন্ধানে একজন সংজ্ঞায়িত ব্যক্তিত্ব।’ বিদেশে গিয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভোলেননি তিনি।
জাপানে যখন ছিলেন তখন মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে রাসবিহারী বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এবার পৌঁছে গিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। যেখানে নেতাজির বহু স্মৃতি রয়েছে। আর আইএনএ মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখলেন, ‘আইএনএ’র প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছি। এখন স্মৃতিস্তম্ভটি সিঙ্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই আমি বাইরে থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছি। ওই মুহূর্তটি আমার মধ্যে গভীর আবেগকে জাগিয়ে তুলেছিল। নেতাজির মতো বিপ্লবীদের নেতৃত্বে বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের একটি মর্মস্পর্শী স্মৃতি।’
আরও পড়ুন: কেন আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করল তৃণমূল? বায়োডাটায় লুকিয়ে আছে আসল রহস্য
এরপর এখান থেকে অভিষেক সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশনে যান। সেখানেও বহুক্ষণ সময় কাটান। সেখানের মহারাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মন্দিরে গিয়ে। রামকৃষ্ণ, সারদা মা, স্বামী বিবেকানন্দের সামনে প্রণাম করে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এটি একটি আধ্যাত্মিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠান। যা শ্রী রামকৃষ্ণ, মা সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের শিক্ষা এবং প্রজ্ঞা সর্বদা আমার জীবনে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছে। এই সফর একটি শক্তিশালী স্মারক হিসেবে কাজ করেছে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই একটি গভীর নৈতিক উদ্দেশ্যের মধ্যে নিহিত। আমরা যেন শান্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটল থাকি এবং আমাদের সভ্যতাকে দীর্ঘকাল ধরে সংজ্ঞায়িত করে আসা মূল্যবোধগুলিকে সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি।’