
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ছত্তিশগড়ে সাংবাদিক 'খুনের' ঘটনায় শনিবার তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হল। যদিও কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর তেত্রিশের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। শেষমেশ শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সাংবাদিকের দেহের সন্ধান মেলে বিজাপুর শহরের বাসিন্দা এক ঠিকাদারের মালিকানাধীন একটি সম্পত্তির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে!
পিটিআই সূত্রে খবর, বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার হিসাবে কাজ করতেন মুকেশ। পাশাপাশি, তাঁর একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। যার নাম - বাস্তার জংশন।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মুকেশকে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের নেপথ্য কারণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু খোলসা করা হয়নি। তবে, স্থানীয় সাংবাদিক মহলে বলাবলি হচ্ছে - সম্প্রতি এই এলাকার নির্মাণ দুর্নীতি এবং নির্মাণ সংক্রান্ত বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে একাধিক খবর করেছিলেন মুকেশ। সাংবাদিক মহলের অনুমান, হয়তো এই কারণেই ওই তরুণকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হল!
অন্যদিকে, পুলিশের তরফে পিটিআই-কে জানানো হয়েছে, মুকেশের ভাই যুকেশ চন্দ্রকর তাঁর নামে প্রথমে নিখোঁজ ডায়ারি করিয়েছিলেন (২ জানুয়ারি, ২০২৫)। যার জেরে পুলিশ মুকেশের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে বিজাপুরের ওই সম্পত্তিতে পৌঁছয়। যেখান থেকে পরে মুকেশের দেহ উদ্ধার করা হয়। এবং তারপর একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই এই ঘটনা প্রসঙ্গে আগেই জানিয়েছিলেন, যে বা যারাই এই খুনের নেপথ্যে থাকুক না কেন, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।
শুক্রবার তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'বিজাপুরের তরুণ এবং কর্মনিষ্ঠ সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরজির খুনের খবর অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। মুকেশজির এই অপমৃত্যু সংবাদমাধ্যম এবং সমাজের এক অপূরণীয় ক্ষতি।
কোনও অবস্থাতেই এই ঘটনায় দোষীদের রেয়াত করা হবে না। আমি নির্দেশ দিয়েছি, যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। এবং তাদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।'
অন্যদিকে, পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক সন্দেহভাজন ও অন্য়ান্য ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই তালিকায় সুরেশ চন্দ্রকর নামে সেই ঠিকাদারও রয়েছেন, যাঁর সম্পত্তি থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, স্থানীয় সাংবাদিক মহলে যে অভিযোগ উঠছে - হয়তো তাঁর করা কোনও খবরের জন্যই মুকেশকে নিজের জীবন দিতে হল, সেই দাবিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মুকেশ সম্প্রতি যত খবর করেছিলেন, সেই সবগুলি নিয়ে পুলিশের কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মুকেশ পুলিশ ও প্রশাসনের বিশেষ নজরে এসেছিল। কারণ, সেবার রাকেশ্বর সিং মানহাস নামে সিআরপিএফ-এর এক অপহৃত কোবরা কমান্ডোকে মাওবাদীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই মুকেশ!
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports