আজ চাপের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। তিনি বাংলাদেশ সেনার হেলিকপ্টারে করেই আগরতলায় পৌঁছে যান। এদিকে বিবিসি বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশ ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে শেষ একটি বার্তা রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে সেনা নাকি সেই বার্তা রেকর্ড করতে দেয়নি। পরে শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে আগরতলার উদ্দেশে উড়ে যায় হেলিকপ্টার। এদিকে বাংলাদেশ সেনার প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। যাঁদের যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের বিচার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। সেইসঙ্গে সেনার উপরে আস্থা রাখার আর্জি জানিয়েছেন। (আরও পড়ুন: হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশে ভাঙা হল বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, ভাইরাল ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: পাক হাইকমিশনের মদতে জামাত হিংসা ছড়াচ্ছে, জানাল হাসিনা সরকার, সতর্ক ভারত
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন। সেখান থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল। তবে গত শুক্রবার থেকে ফের হিংসা ছড়ায় বাংলাদেশে। এদিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল, রবিবার আওয়ামি লিগ, ছাত্রলিগের নেতাকর্মীদের ওপরে জায়গায় জায়গায় হামলা চালানো হয়েছিল। অন্তত ১৪টি জায়গায় মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের ওপরে হামলা হয়েছে। দেশি জুড়ে আওয়ামি লিগের অন্তত ২০টি কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ৩৯টি জেলায় শাসকলদল আওয়ামি লিগ আক্রান্ত হয়েছে বিক্ষোভকারীদের হামলায়। জানা গিয়েছে, চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির বাসায়, বরিশালে জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসভবনে ভাঙচুর করা হয় ও আগুন ধরিয়ে দেওয়াহ হয়। বাংলাদেশ জুড়ে আওয়মি লিগ এবং ছাত্রলিগের ১৮ জন সদস্যকে খুন করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে বিরোধী দল বিএনপি-র একজনের মৃত্যু হয়েছে।