'প্রেমের টানে' পাকিস্তান থেকে চলে আসা সীমা হায়দারকে নিয়ে যেন নিত্য নতুন সংশয় দানা বাঁধছে। পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতের যুবক সচিনের সঙ্গে পরিচয়। তারপর একেবারে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে এলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার ফের সীমাকে জেরা করেছে পুলিশ ও ইউপি এটিএস। সূত্রের খবর।
তবে এনিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনকী জেরা হয়েছে কি না তা নিয়েও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এদিকে লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সীমা জানিয়েছেন, তিনি ভারতেই থাকতে চান।কিন্তু কোনও মূল্য়েই তিনি পাকিস্তানে ফিরতে চান না। তিনি সচিনের সঙ্গেই থাকতে চান। তবে টানা জেরায় তিনি ক্লান্ত।
আসলে বুলন্দশহরে কেন তারা ভুয়ো নথি তৈরি করেছিলেন তা নিয়ে জানতে চাইছে পুলিশ। তবে জেরার পরে দুজনেই বাড়ি ফিরে যান। তবে পুলিশ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে কোনও জেরা হয়নি। তারা বাড়িতেই রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশ তদন্তের জাল গোটাতে চাইছে। কীভাবে ওই মহিলা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন, কেন ভুয়ো নথি তৈরি করলেন, প্রেমের টান নাকি তার অন্য় কোনও মতলব রয়েছে সবটা জানার চেষ্টা করছে এটিএস। পুলিশ ইতিমধ্য়েই পাকিস্তানে দূতাবাসে ওই মহিলা ও তার বাচ্চাদের পাসপোর্ট পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
সেই সঙ্গেই জানতে চাওয়া হয়েছে সীমা কি পাকিস্তানে? সীমা যে নথি দেখিয়েছে সেটা কতটা সত্যি? সবটাই জানতে চাইছে ইউপি এটিএস।
সীমার ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা সচিন একাই সীমাকে সহায়তা করেছিল এমনটা নয়। কারণ একাধিক ক্ষেত্রে অন্যান্যরাও বিষয়টি জানত। এমনকী তারাও এনিয়ে জানত। এবার এনিয়েই তথ্য় জোগাড় করছে পুলিশ।
এদিকে সীমাকে নিয়ে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। পাবজি খেলতে গিয়ে সীমা হায়দারের সঙ্গে পরিচয় ভারতের সচিনের। এরপর সেই প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন সীমা। উত্তরপ্রদেশ এটিএস পাক চর হিসাবে সন্দেহ করে সীমাকে দীর্ঘ জেরাও করেছে। এমনকী তাকে আগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তবে সীমা কিন্তু এখনও প্রেমের জয়গান গাইছেন। তাঁর দাবি তিনি হিন্দু হয়ে গিয়েছেন। তবে পুলিশ সবটাই খোঁজ রাখছে।