এসডিএম জ্য়োতি মৌর্য্যর সেই ঘটনার পরে এখন স্ত্রীদের পড়াশোনা করাতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে। অবাক করা ঘটনা হলেও এটাই বাস্তব। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ওই আধিকারিকের ঘটনা যেন নাড়িয়ে দিয়েছে অনেক পরিবারকে। লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বক্সারের চৌগাই জেলার বাসিন্দা পিন্টু কুমার সিং ঘটনার কথা জেনেই তাঁর স্ত্রীর পড়াশোনা মাঝপথেই বন্ধ করে দেন।
তবে ওই মহিলাও ছাড়বার পাত্রী নন। তিনি মুরার পুলিশ স্টেশনে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ আপাতত স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই বুঝিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার কথা বলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পিন্টু বুঝতে পেরেছে বিষয়টি। তারপর তিনি আপাতত আবার স্ত্রীর পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে আর বাধা দিতে চাননি।
আগে জ্যোতি মৌর্যর ঘটনাটা ছোট করে জেনে নেওয়া যাক।
তিনি ইউপির পিসিএস অফিসার ছিলেন। একাধিক জেলায় এসডিএম হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে প্রয়াগরাজের বাসিন্দা অলোক মৌর্যর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। অলোক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। কিন্তু স্ত্রীকে পড়াশোনা শিখিয়ে তিনি পিসিএস পরীক্ষায় বসিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে পরীক্ষায় পাস করে পিসিএস অফিসার হন জ্যোতি। এরপরই অলোকের দাবি, অফিসার হয়ে গিয়েই তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন জ্যোতি। এমনকী এক হোম গার্ড কমান্ডান্টের সঙ্গেও জ্যোতির অবৈধ সম্পর্কের কথা টের পান তিনি। আর এনিয়ে আপত্তি তুলতেই অলোককে যৌতুক সংক্রান্ত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন জ্যোতি। এরপরই অনেকের মনে আতঙ্ক চেপে বসে।
জ্যোতিকে পড়াশোনা করিয়ে অফিসার তৈরি করলেন অলোক, সেই স্বামীকে রাত দিন অপমান করছেন স্ত্রী। এই ঘটনার কথা শুনে পিন্টুরও মনে হয়েছিল তাঁর স্ত্রী খুশবু মুরারও হয়তো জ্যোতির মতোই পড়াশোনা করে যদি অফিসার হয়ে যান তবে তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ফেলবেন। এরপরই তিনি সতর্ক হয়ে যান। তিনি স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ করে দেন।
তবে এরপরই খুশবু থানায় চলে যান। তিনি বলেন, সবাই জ্যোতির মতো নয়। আমি ওই রকম হব না। এদিকে পিন্টু একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। তিনি কোনওরকমে সংসার চালান। তবে পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করে।