রবিবার নয়, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার প্রায় ১০০ টি স্কুলে শুক্রবার ছুটি থাকছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েকটি স্কুলের নামের আগে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে উর্দু শব্দ। বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য না করা হলেও হেমন্ত সোরেনদের আক্রমণ শানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারাণ্ডি।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে জামতাড়া জেলার দু'তিনটি স্কুলের সাপ্তাহিক ছুটি পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। কয়েকজন স্থানীয় যুবক স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ তৈরি করে। যুবকরা দাবি করে, এলাকায় তাদের সম্প্রদায়ের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ থাকেন। স্কুলগুলিতেও ওই ধর্মের পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। তাই ওই স্কুলগুলিতে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ছুটি দিতে হবে। সেভাবেই জেলার প্রায় ১০০ টি স্কুলে শুক্রবার ছুটি দেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাই অন্য প্রার্থনা, হাতজোড় নয় - ঝাড়খণ্ডের স্কুলে ফতোয়া কট্টরবাদীদের: রিপোর্ট
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে অভিযোগ উঠেছিল যে ধর্মের ছুতোয় প্রার্থনা জোরজবরদস্তি করে স্কুলের প্রার্থনা পালটানো হয়। দৈনিক জাগরণ-সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের একটি জেলায় অবস্থিত একটি জুনিয়র হাইস্কুলে কট্টরপন্থীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ। যে গ্রামের স্কুলে সেই ঘটনা ঘটেছে, সেই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, তারা স্কুলের প্রার্থনা পরিবর্তনের জন্য প্রধান শিক্ষকের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সেইসঙ্গে বাচ্চারা হাতজোড় করতে পারবে না বলে ফতোয়া জারি করা হয়। লাগাতার স্কুলের উপর চাপ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রবল চাপের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রার্থনা পালটে দিতে বাধ্য হয় বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামবাসীদের চাপের মুখে ‘অব দয়া কর দান’-র পরিবর্তে 'তু হি রাম, তু হি রহিম' প্রার্থনা চালু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, গ্রামে যে সম্প্রদায়ের মানুষের বাস, তাঁদের কথামতো প্রার্থনা সংগীত বেছে নিতে হবে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়।