উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্ষণের শিকার মহিলার পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জানানো আর্জি খারিজ হল সুপ্রিম কোর্টে। এই ইস্যুতে উত্তর প্রদেশের সরকার একটি আর্জি জানিয়েছিল, সেই আর্জি শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এই ইস্যুতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায় এগেই এসেছিল, সেই রায়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশে এক ১৯ বছরের মহিলার ধর্ষণ ও পরে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এমন নির্দেশ (কোর্টের) গুলিকে রাজ্যের তরফে কোনও মতেই চ্যালেঞ্জ করা উচিত নয়। কোর্ট বলে, ‘এগুলি পরিবারকে দেওয়া সুবিধা। এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’ এছাড়াও কোর্ট বলে, যাতে হাথরাসের বাইরে ওই পরিবারকে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদ এই মামলার সওয়াল জবাব পর্বে প্রশ্ন তোলেন যে, মৃতার বড় দাদা যিনি বিবাহিত, তাঁকে কি কোনও মতে মৃতার ওপর নির্ভরশীল হিসাবে চাকরি দেওয়ার যুক্তি রয়েছে আইন মেনে? তবে তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কোনও জবাব দিতে চায়নি। এর আগে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলে, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার হাথরাসে ধর্ষিতার পরিবরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করতে বাধ্য। কোর্ট তার রায়ে এও জানিয়েছিল যে, হাথরাসে মৃতার পরিবারকে হাথরাসের বাইরে কোনও স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে সরকারকে। তবে সেই স্থানটি উত্তর প্রদেশের মধ্যেই হতে হবে। (OBC কোটা থেকে মুসলিমদের সরানোর কারণ ব্যাখ্যা শাহের,ভোটমুখী কর্ণাটকে ঝোড়ো প্রচার )
উল্লেখ্য, হাথরাসে ধর্ষণের ঘটনার পর যেভাবে মধ্যরাতে ওই তরুণীর দেহকে দাহ করা হয়, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কোর্টে। সেই মামলার নিরিখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই রায় দিয়েছিল। সেই রায়কেই ধরে রাখল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে হাথরাসে ধর্ষণের শিকার মহিলার দাদাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে হাথরাসে এক নারকীয় গণধর্ষণের শিকার হয় ১৯ বছরের ওই মহিলা। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক