মুম্বইয়ে তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি করেছে সদ্য বান্দ্রায় সইফ আলি খানের বাড়ির ভিতরে অভিনেতার ওপর হামলার ঘটনা। সেই ঘটনায় ধৃতকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে, মুম্বইয়ের বুকে বাংলাদেশিদের অবস্থান ও এই হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপিকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তোপ দাগেন শিবসেনা (ইউবিটি) শিবিরের সঞ্জয় রা
সঞ্জয় রাউতের কাছে প্রশ্ন ছিল সইফ আলি খানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি সন্দেহভাজন কিনা, তা নিয়ে। সঞ্জয় রাউত উত্তরে বলেন,'কে বলেছে সে বাংলাদেশি? বিজেপির লোকজন? বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে, সইফ আলি খানের ওপর যে হামলা হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।' এরইসঙ্গে সঞ্জয় রাউত বলেন,'কী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র? কী হয়েছে? এক অভিনেতার ওপর হামলা হয়েছে। ছুরি দিয়ে হামলা হয়েছে। তার নেপথ্যের রহস্য কী, তা জানাতে বলুন। সে (অভিযুক্ত) কে, কী? যদি সে বাংলাদেশি হয়.. তাহলে তার দায়িত্ব কার? কেন্দ্রীয় সরকারের। যদি বাংলাদেশি এখানে এসে থাকে, রোহিঙ্গারা এসে থাকে, তাহলে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দায়িত্ব। ইস্তফা দিন উনি, ওঁর ইস্তফা চাওয়া হোক। ' একইসঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের এই নেতার বক্তব্য, ‘যদি বাংলাদেশিদের হঠাতে হয় আপনাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল নিয়ে যান.. আমি আহ্বান করি, মুম্বইয়ের বিজেপির নেতাদের… যান মোদীসাহেবের সঙ্গে দেখা করুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করুন। আর বলুন ,সব বাংলাদেশিদের হঠিয়ে দিন, আর শুরু করুন শেখ হাসিনাকে দিয়ে, যাঁকে এদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
( Modi on Mahakumbh 2025: ‘অবিস্মরণীয় ভিড়.. অকল্পনীয় দৃশ্য’, ২০২৫র প্রথম ‘মন কি বাত’-এ মহাকুম্ভের ভূয়সী প্রশংসায় মোদী)
সঞ্জয় রাউতের সাফ কথা,'বিজেপি নাটক করছে। মুম্বই মহানগর পালিকার নির্বাচন আছে.. তাই লোকজনকে ভয় দেখানো হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করছে। বাংলাদেশিদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আমরাই যথেষ্ট… আমরা শুরু করেছিলাম, তখন বিজেপি আমাদের সংসদে বলার থেকে আটকে ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে.. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক খারাপ হবে বলে। কার সরকার ছিল সেই সময়? আর এখন সইফ আলি খানকে নিয়ে এসব বলছে… ১০ দিন আগে লাভ জেহাদ বলছিল।' সঞ্জয় রাউত বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন,'করিনা কাপুর আর সইফ আলি খানকে নিয়ে লাভ জেহাদ বলা হয়েছিল.. আর এখন হামলা হওয়ার পর খুব ভালোবাসা দেখানো হচ্ছে, ওদের ছেলে আছে,নিরীহ ছোট্ট ছেলেটার নাম তৈমুর, তা নিয়েও আপনাদের লোক (বিজেপি) অনেক কিছু বলেছে। '