শেখ হাসিনা এখন কোথায় রয়েছেন? গত কয়েক দিন ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার নামে জোর জল্পনা চলছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে। সেইসঙ্গে, সামাজিক মাধ্যমেও এ নিয়ে বহু নেট নাগরিককে নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু, আসল ঘটনা কী? সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, সেদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাকি আর ভারতে নেই! তিনি রয়েছেন কোনও আরব দেশে।
এই দাবির নেপথ্যে যুৎসই যুক্তিও খাড়া করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেই দাবি করা হয়েছে, প্রাক্তন সংসদ সদস্য শামিম ওসমানকে নাকি দেখা গিয়েছে আরবে।
অনেকেরই দাবি ছিল, শামিম ওসমানের সঙ্গে শেখ হাসিনা আত্মগোপন করে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বোন শেখ রেহানা। কিন্তু, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের এই দাবির স্বপক্ষে কোনও সরকারি বা আনুষ্ঠানিক প্রমাণ পেশ করা হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের এহেন সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর পালটা দাবি, তাঁর মা, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই আছেন।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয় জানান, তাঁর মায়ের ভারত ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা একেবারেই গুজব। তাঁর মা এখনও পর্যন্ত ভারতেই রয়েছেন।
এমনকী, জয় এও দাবি করেছেন যে তাঁর মাকে ভারত ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য কোনও চাপও দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ছাত্র বিক্ষোভের হাত ধরে শুরু হওয়ার কোটা-বিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের জেরে, গত ৫ অগাস্ট কার্যত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর বোন শেখ রেহানাও ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
কিন্তু, এরপর থেকে সবই চুপচাপ। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র একবার জানানো হয়েছিল, খুব অল্প সময়ের নোটিসে ভারতে এসে পৌঁছন শেখ হাসিনা। কিন্তু, তিনি কোথায় রয়েছেন, কোথায় যাবেন, এইসব বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
ওদিকে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তাই, ভারতে শেখ হাসিনা কী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছেন, বা রয়েছেন, সেটা আজও স্পষ্ট নয়।
প্রথমের দিকে শোনা গিয়েছিল, শেখ হাসিনা হয়তো লন্ডনে যেতে পারেন। কিন্তু, পরবর্তীতে তেমন কোনও ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসেনি।