প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুণ্যার্থীরা পুণ্য স্নান করতে যাচ্ছেন। এবার সেই কুম্ভমেলায় যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন পুণ্যার্থীরা। আর ওই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার জেরে বাংলার চারজন পুণ্যার্থীর একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার মাঝরাতে ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে চারচাকার গাড়িকে। আর তার জেরে দুমড়ে মুচড়ে গেল ওই গাড়িটি। এই পথ দুর্ঘটনার জেরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারার জেরে জখম হলেন আরও ৬ জন যাত্রী। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের রাজগঞ্জ থানা এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘটে।
এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার জেরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ মৃতদের চারজনই বাংলার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পথ দুর্ঘটনায় মৃতদের নাম শেখ রাজাবলী (গাড়িচালক), পিয়ালি সাহা, তেমুলি সাহা, পনোবা সাহা। এই মৃত তিনজন মহিলা হুগলির কামারপুকুরের বাসিন্দা। তাঁরা সকলে মিলে একটি গাড়ি কুম্ভমেলায় যাচ্ছিল। শুক্রবার মাঝরাত ১টা নাগাদ গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। তার জেরেই ওই গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। চারজনের মৃত্যু হলেও বেশ কয়েকজন আহতও হন।
আরও পড়ুন: অকাল বৃষ্টি–ডিভিসির জলে ব্যাপক ক্ষতি আলু চাষের, কৃষকদের পাশে দাঁড়াল কৃষি দফতর
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পথ দুর্ঘটনা যখন হয় তখন বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল। তাই সেখানে উপস্থিত মানুষজন ছুটে এসে পুণ্যার্থীদে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তবে টহলরত পুলিশ সেখানে আগেই পৌঁছেছিল। তারপর সকলে মিলে আহতদের উদ্ধার করে ধানবাদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধানবাদ হাসপাতালে থাকা দেহগুলির ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। বাকি ৬ জন আহতের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকের নাম–ঠিকানা জেনে খবর দিতে চাইছে প্রশাসন।
আজ, শনিবার সকাল থেকেই এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সর্বত্র। এই বিষয়ে রাজগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক আলিশা কুমারী বলেন, ‘রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাংলার আটজন পুণ্যার্থী এসইউভি’তে করে প্রয়াগরাজ যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়িটি পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর তাতেই চারজন যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান।’ তবে কুম্ভমেলায় যাওয়ার পথে ধানবাদে এটা নিয়ে দ্বিতীয় পথ দুর্ঘটনা ঘটল। তার আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর থেকে একদল পুণ্যার্থী কুম্ভস্নান সেরে বাসে করে বাড়ির ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়লে আহত হন অন্তত ১৮ জন যাত্রী।