ডিজিটাল কারেন্সিতে মহাত্মা গান্ধীর ছবি না রাখা নিয়ে এবার নয়া বিতর্ক। এবার এনিয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মহাত্মা গান্ধীর বংশধর তুষার অরুণ গান্ধী। কিছুটা অন্য সুরেই তিনি টুইট করেছেন, আরবিআই আর ভারত সরকারকে আমার ধন্য়বাদ। নতুন ডিজিটাল কারেন্সিতে বাপুর ছবি নেই। এবার কাগজের নোট থেকেও বাপুর ছবি সরিয়ে দিন। এভাবেই তিনি কিছুটা অভিমানের সুরেই কেন্দ্রকে ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিঁধলেন।আসলে চলতি মাসের প্রথম দিকে আরবিআই দেশের চারটি শহরে প্রথম পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে আরবিআই ডিজিটাল কারেন্সি চালু করেছে। মুম্বই, নিউ দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও ভুবনেশ্বরে এই ডিজিটাল কারেন্সি চালু হয়েছে। এদিকে কাগুজে নোট থেকে ডিজিটাল কারেন্সির এই পরিবর্তন নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন করে সূচনা হচ্ছে ই-কারেন্সির। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাগজের নোটের প্রতি নির্ভরশীলতা রয়েছে সাধারণ মানুষের। এবার সেই নিরিখে ডিজিটাল কারেন্সির দিকে ঝুঁকছে ভারত। আরবিআই সূত্রে খবর, এটা অনেকটা ডিজিটাল টোকেন বলেই পরিচিত। একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এই ডিজিটাল টাকা তৈরি হয়েছে। কীভাবে মিলবে এই ডিজিটাল নোট? সূত্রের খবর, মোবাইল অ্য়াপে ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে এই ই-কারেন্সি পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা সম্ভব। যে পরিমাণ ই- কারেন্সির জন্য কোনও নাগরিক অনুরোধ করবেন সেটা তাঁর ডিজিটাল রুপি ওয়ালেটে জড়ো হবে।আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন,বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল অর্থই ভবিষ্যতের পথ। তবে এই ডিজিটাল কারেন্সির সঙ্গে ইউপিআইয়ের কিছুটা ফারাক রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক যে ডিজিটাল কারেন্সি ইস্যু করে সেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দায়বদ্ধতা থাকে। অন্য়দিকে ইউপিআই মানে হল একটা লেনদেনের ব্যবস্থা যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের দায়বদ্ধতা থেকে যায়।এদিকে এর আগে চিন, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ এই ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে পরীক্ষা করেছিল। পরবর্তী সময়ে তারা এই ডিজিটাল কারেন্সির দিকেই চলে আসে। এদিকে বর্তমানে প্রায় ৫০টি দেশ এই ডিজিটাল কারেন্সি চালুর প্রথম ধাপে রয়েছে। অন্য়দিকে বিশ্বের ১০টি দেশ পুরোপুরি ডিজিটাল কারেন্সি চালু করে দিয়েছে। এদিকে এবার ভারতও সেই ডিজিটাল কারেন্সির দিকে কয়েকধাপ এগিয়ে গেল। দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরে এই ডিজিটাল কারেন্সি চালু হয়েছে। তবে সেটাও সার্বিকভাবে নয়। এবার ভারতে ডিজিটাল কারেন্সি কতটা জনপ্রিয় হয় সেটাও দেখার।