অভিযুক্ত যুবক বিনয় ঠাকুরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সংগৃহীত ছবি
উত্তরপ্রদেশে ফের ভয়াবহ ঘটনা। হুক্কা বারের মধ্য়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। কানপুরের এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল চরমে। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্তের সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। তাকেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই কিশোরীর বাবা একজন চিকিৎসক। তিনি আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার মধ্য়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
ওই নাবালিকার বাবার অভিযোগ বিনয় ঠাকুর নামে এক যুবক তাকে হুক্কা বারে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে তাকে মাদক মেশানো কোল্ড ড্রিংকস খেতে দেয়। তারপর সে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। এরপর তাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তার বন্ধুরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপর সেই নাবালিকা বাধা দিতে গেলে তারা তাকে মারধর করে। এমনকী বাইরে বলে দিলে তারা ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এদিকে মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত বিনয় ব্লেড দিয়ে তার নাম ওই নাবালিকার বুকে লিখে দিয়েছিল।
এদিকে মেয়েটি এরপর বাড়ি ফিরে এসে গোটা ঘটনা তার বাবাকে খুলে বলে। এরপর তার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পকসো অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
এদিকে সূত্রের খবর, ফুড পার্লারের পেছনেও শহরে একাধিক হুক্কা বার রয়েছে। সেখানে ধনী ঘরের ছেলেমেয়েরা আসছে।এমনকী তাদের মনোরঞ্জনের সবরকম ব্যবস্থা থাকছে। তাদের নির্জনে সময় কাটানোর জন্য় আলাদা ঘরেরও ব্যবস্থা থাকছে।
তবে এই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে হয়তো পরিকল্পিতভাবে এই কাণ্ড ঘটনাো হয়েছে। মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয়েছিল কিশোরীকে। তারপর তার যৌন হেনস্থা করা হয়। তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অন্য়ান্য বন্ধুরাও তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এরপরই কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন ওই কিশোরী। তার বাবা এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ করছে।
অভিযোগ দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এই হুক্কা বার। এখানে নানা অবৈধ কাজ হয় বলেও অভিযোগ। একাধিক ঘটনাও হয় এখানে। এবার সেই হুক্কা বারেই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।