ইডির বিরুদ্ধে সাংবাদিক রানা আয়ুবের দায়ের করা মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক রানা আয়ুবের দাবি ছিল, অভিযোগে উল্লেখিত অপরাধ উত্তরপ্রদেশে সংগঠিত না হলেও সেখানে মামলা করা হয়েছে ইডির তরফে। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রানা আয়ুবের আবেদন, ইডির দায়ের করা মামলা যেন উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন রানা আয়ুব
ইডির বিরুদ্ধে সাংবাদিক রানা আয়ুবের দায়ের করা মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই উত্তরপ্রদেশের একটি আদালতে তালিকাভুক্ত অর্থ তছরুপের মামলায় সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে তলব প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক রানা আয়ুবের দাবি ছিল, অভিযোগে উল্লেখিত অপরাধ উত্তরপ্রদেশে সংগঠিত না হলেও সেখানে মামলা করা হয়েছে ইডির তরফে। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রানা আয়ুবের আবেদন, ইডির দায়ের করা মামলা যেন উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রানার এই আবেদন গ্রহণ করেছে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রানার আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। (আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘু বিরোধী’, শপথের ক'ঘণ্টা আগে বিচারপতি নিয়োগের বিরোধিতায় শুনানি SC-তে)
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর গাজিয়াবাদের একটি আদালত ২০২১ সালের অর্থ তছরুপের মামলায় রানাকে তলব করেছিল। সেই তলবের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রানা আয়ুব। প্রসঙ্গত, রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোভিডের ত্রাণ ও কৃষকদের সাহায্যের নামে বেআইনি ভাবে বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করেন তিনি। সেই তহবিলের সিংহভাগই এবার ব্যক্তিগত খাতেই খরচ করেন তিনি। গাজিয়াবাদে ‘হিন্দু আইটি সেল’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিকাশ সাংকৃত্যায়নের দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছিল ইডি। এরপর গতবছর চার্জশিট রানার নামে চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি।
ইডির দাবি, ২০২০ সালের এপ্রিলে একটি ক্রাউডফান্ডিং ওয়েবসাইট মারফত লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসম, বিহার এবং মহারাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য ২.৬৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলেন রানা। তবে ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেই সেই টাকা তুলেছিলেন রানা। তদন্তের পর ইডির তরফে দাবি করা হয়, অনুদানের টাকা রানার বাবা ও বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে। পরে সেখান থেকে তা নিজের অ্যাকাউন্টে পাঠান রানা। ইডি জানিয়েছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএম কেয়ার তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। যদিও টাকা নয়-ছয়ের যাবতীয় অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছেন রানা। বরং তাঁর পালটা অভিযোগ, বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় করার কারণেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।