ছত্তিশগড়ের বস্তারে সিআরপিএফ-এর ক্যাম্প স্বথাপনের বিরোধিতায় এখনও জারি রয়েছে স্থানীয় আদিবাসীদের বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, ১৫ দিন আগে বস্তার এলাকার সিলগার জঙ্গলে গুলি বিনিময়ের জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনজন। নিরপত্তারক্ষী বাহিনীর দাবি, মাওবাজীদের গুলিতে প্রাণ হারায় তারা। তবে সেদিন থেকে শ'য়ে শ'য়ে গ্রামবাসী সিআরপিএফ-এর ক্যাম্পের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের দাবি, যতদিন না সেখান থেকে সিআরপিএফ-এর ক্যাম্প সরানো হচ্ছে, ততদিন এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। অপরদিনে সেখানে সিআরপিএফ ক্যাম্প রাখার বিষয়ে অনড় ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেলের সরকারও। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অচলাবস্থা চলছে।এদিকে যেই স্থানে তিনজন প্রাণ হারিয়েছিস, সেখানে পাথর দিয়ে একটি স্মৃতি সৌধ তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, মূলত মাওবাদীদের উস্কানিতেই এই বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নাকি ১৭ জন বহিরাগত আছেন। পুলিশের অভিযোগ, এই বহিরাগতদের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এবং সেই প্রমাণের ভিত্তিতে শীঘ্রই তারা পদক্ষেপ নিতে চেলেছেন।উল্লেখ্য, সিলগার জঙ্গলের কাছে সিআরপিএফ-এর একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয় ১২ মে। ১৭ মে সেই স্থানে গুলি বিনিময় হয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী এবং মাওয়াবাদীদের মধ্যে। সেই এনকাউন্টারে এক গর্ভবতী মহিলা সহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। এরপর থেকেই সেই সিআরপিএফ ক্যাম্পটি সেখান থেকে তুলে নেওয়ার দাবি করে আসছেন গ্রামবাসীরা।এদিকে এই বিষয়ে বস্তার রেঞ্জের আইজি-র বক্তব্য, 'এই এলাকার গ্রামবাসীদের উপর মাওবাদীরা চাপ সৃষ্টি করছে এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফেরার জন্য বলা হয়েছে। এই এলাকায় সক্রিয় মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করছি। খুব শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে আণরা ব্যবস্থা নেব।' এদিকে এই বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিআই মাওবাদীর দণ্ডকারণ্যের বিশেষ জনাল কমিটি।