ঘটনা পাকিস্তানের। সেখানের কারসাজ রোডে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায় কিছুদিন আগে। স্বভাবতই দুর্ঘটনা ঘটার পরই গাড়ি ঘিরতে থাকে ক্ষিপ্ত জনতা। গাড়িটি ছিল বিলাসবহুল ‘টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার’। যাঁর গাড়ির ধাক্কায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে,সেই নাতাশা দানিশ এই দুর্ঘটনার পর যে অঙ্গভঙ্গি করেছেন, তা ভিডিয়ো বন্দি হয়েছে। এই ভিডিয়ো সোশ্য়াল মিডিয়ায় আসতেই তা ভাইরাল হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর মুখে মৃদু হাসি নিয়ে নাতাশাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার বাপকে চেনো না’!
পাকিস্তানের তাবড় শিল্পপতি দানিশ ইকবালের স্ত্রী নাতাশা। তাঁর এসইউভির ধাক্কায় কিছুদিন আগে দুই পথচারীর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে নেমে কার্যত নাতাশাকে ঘোরের মধ্যে রয়েছেন বলে মনে হয়েছে অনেকের। এদিকে, তাঁর গাড়ি ঘটনার দিন একটি বাইককে গিয়ে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারে দুই পথচারীকেও। পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন-র খবর অনুসারে গাড়ি ঘোরানোর সময় একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা মারে নাতাশার SUV। ঘটনায় একাধিক গাড়ি রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোটিপতি শিল্পপতির স্ত্রী নতাশা দানিশের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান এক বাবা ও তাঁর মেয়ে। তবে বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, এই ভয়াবহ ঘটনার পর নাতাশার মুখে কোনও দুঃখ বা অনুশোচনা ছিল না। তিনি আঙুল তুলে ক্ষিপ্ত জনতার দিকে কিছু বোঝাতে থাকেন। শোনা যায় তিনি বলছেন,'আমার বাপকে চেনো না'। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বহু নেটিজেন। বেশ কিছু পাকিস্তানি মিডিয়ার দাবি, প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ওই সময় নাতাশা অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন।
বহু নেটিজেনের দাবি, যেভাবে ওই মহিলা ভিডিয়োয় হাসছেন, তাতে পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। চোখের সামনে ২ জন মানুষের মৃত্যু, ৩ জনের আহত হওয়ার ঘটনার পরও মহিলার চোখে মুখে কোনও অনুতাপ বা ভয় দেখা যায়নি। উল্টে আঙুল তুলে এই বিলাসবহুল গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মেরে বাপ কো তুম নেহি জানতে’। গোটা ঘটনায় পাকিস্তানে ছড়িয়েছে ক্ষোভের রেশ।