এক দশকেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের কোনও বিদেশ মন্ত্রী। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিদেশ মন্ত্রী ইসাক দারের ঢাকা সফরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী হিনা রব্বানী খার। আর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের বাংলাদেশ সফরে আসতে চলেছেন পাকিস্তানের কোনও বিদেশ মন্ত্রী। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এপার বাংলার ভূমিপুত্র কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ঢাকার
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৃশংসতার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে বারবার আহ্বান জানিয়েছিল ঢাকা। যদিও পাকিস্তানের তরফে এনিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়নি বা কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। সেই আবহেই ঢাকা সফরে আসছেন পাক বিদেশ মন্ত্রী। হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশের বিদেশ নীতিতে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চাইছে বাংলাদেশ। এর জন্য গত কয়েক মাসের মধ্যে দুবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউনুস। ফলে দারের বাংলাদেশ সফর বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
পাক বিদেশমন্ত্রী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তানের হারানো ভাই। আগামী মাসে ঢাকা সফর বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে কাজ করব। একে অপরকে সমর্থন এবং সহযোগিতা করব।’ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী এই সফরে আসবেন। এর আগে ইউনুস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অনুরোধ করেছিলেন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ইসহাক দারের ঢাকা সফর নিয়ে ইতিমধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাসিনার পতনের পরেই পাক বাংলাদেশ সম্পর্ক কিছুটা উন্নত হয়েছে। পাকিস্তানিদের সুবিধার্তে বেশ কিছু নির্দেশিকাও জারি করেছে ইউনুস সরকার। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানিদের বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়। সব বাংলাদেশি দূতাবাস এবং ডেপুটি হাই কমিশনারে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, গত ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে পাক পণ্যবাহী দ্বিতীয় জাহাজ।