পাক জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে (টিআরএফ) সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকেই দিশাহারা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এই আবহে এখন পাকিস্তানের আবদার, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মজিদ ব্রিগেডকে যাতে আমেরিকা নিষিদ্ধ করে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। এই আবহে শুক্রবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয় মজিদ ব্রিগেডকেও নিষিদ্ধ ঘোষিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। (আরও পড়ুন: USA এবং UN-এর ১২৬৭ কমিটিকে টিআরএফ ডসিয়ার দেন বিদেশ সচিব মিশ্রি, কী ছিল তাতে?)
আরও পড়ুন: চাকরির ১৫ বছর বাকি থাকতে পদত্যাগ করলেন ২ মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা IRS অফিসার
এর আগে টিআরএফকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করার ঘোষণা করে আমেরিকা। উল্লেখ্য, এই টিআরএফ কোনও বিচ্ছিন্ন সংগঠন নয়, বরং লস্কর-ই-তৈয়বার একটি নতুন নাম - যা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট। এই আবহে ভারত এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মুখোশ উন্মোচন করতে জাতিসংঘের মনিটরিং টিম, কাউন্টার-টেররিজম অফিস (ইউএএনওসিটি) এবং সিটিইডি (সিটিইডি)-এর সাথে বৈঠক করে। এই হামলায় টিআরএফের জড়িত থাকার সাথে সম্পর্কিত সম্পূর্ণ প্রমাণ তুলে ধরে একটি ভারতীয় দল। (আরও পড়ুন: TRF নিয়ে আমেরিকার চড় খেয়ে গালে হাত বোলাতে বোলাতে কী বলল পাকিস্তান?)
আরও পড়ুন: AI দুর্ঘটনায় ক্যাপ্টেনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, কী বললেন US NTSB চেয়ারম্যান?
এই আবহে পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান এক বিবৃতিতে বলেন, 'পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্ত ঢাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং এর জন্য নজিরবিহীন ত্যাগ স্বীকার করেছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের এই বিপদের মোকাবিলায় আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পক্ষপাতহীন ও বৈষম্যহীন নীতি গ্রহণের আহ্বান জানাই।' তিনি দাবি করেছিলেন যে মজিদ ব্রিগেডকে বিএলএর আরেকটি রূপ। এই আবহে এটিকেও জঙ্গি সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে ইন্ডিয়া ব্লক ছাড়ল জাতীয় স্তরের দল)
আরও পড়ুন: উড়েছে ঘুম, ভারত সহ একাধিক দেশকে আবারও ভয় দেখানোর চেষ্টা ট্রাম্পের
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী সন্ত্রাসবাদীদের 'স্বাধীনতা সংগ্রামী' হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। পড়শি দেশের বিদেশমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন গত ২৪ এপ্রিল। পরে সংসদে দাঁড়িয়ে ইশাক দার স্বীকার করেন, পহেলগাঁও নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে টিআরএফের নাম সরিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। এই আবহে চিনের সাহায্যে পহেলগাঁও বিবৃতি থেকে টিআরএফের নাম সরিয়েছিল তারা। এই কথা সংসদে দাঁড়িয়ে স্বীকারও করেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। উল্লেখ্য, এর আগে টিআরএফ এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। পরে অবশ্য ভারতের হামলার ভয়ে ফের একবার বিবৃতি প্রকাশ করে হামলার দায় নিজেদের কাঁধ থেকে ঝেরে ফেলার চেষ্টা করে তারা।