সংস্কৃতি ফালোর
'মেরা বুথ সবসে মজবুত'। ভূপালে বুথকর্মীদের নিয়ে ক্লাস নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কর্মসূচিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, আইনের ক্ষেত্রে সমতা থাকা দরকার। একই দেশে দুরকম আইন কেন হবে? আর মোদীর সেই বক্তব্যকে ঘিরেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি আসল ইস্যু থেকে চোখ ঘোরাতে চাইছেন মোদী। বিরোধীরা কার্যত এক সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন এই ইস্যুতে। তাঁদের মূল কথা মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য়ই এই কাজ করা হচ্ছে।
কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, তাঁর সবার আগে দারিদ্রতা, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে কথা বলা দরকার। তিনি মণিপুর ইস্য়ু নিয়ে কিছু বলছেন না। গোটা রাজ্য গত ৬০ দিন ধরে জ্বলছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই দিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।
কংগ্রেস নেতা তারিক আনওয়ার এএনআইকে জানিয়েছেন, যখন কোনও আইন তৈরি হয় সেটা সবাইকে মানতে হবে। যে বিল পাশ হয়েছে তা নিয়ে এত কিছু বলার কী আছে? আসলে মধ্য়প্রদেশ ভোট আসছে। সেকারণে তিন তালাক, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কথা বলছেন মোদী।
তিন তালাক নিয়েও মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, যারা তিন তালাকের পক্ষে কথা বলেন, যারা এটাকে সমর্থন করেন, এই ভোট ব্যাঙ্কের জন্য় যারা এত ক্ষুধার্ত তারা মুসলিম কন্য়াদের সঙ্গে অবিচার করছেন। তিন তালাক শুধু মুসলিম কন্যাদের সঙ্গে অবিচার করে সেটাই নয়, তার বাইরেও এটা আরও কিছু করে। গোটা পরিবারকে শেষ করে দেয়। এটা যদি ইসলামের নির্দেশ হয়ে থাকে তবে কাতার, জর্ডন, ইন্দোনেশিয়া পাকিস্তান, বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে মোদীর এই বক্তব্য়ের বিরোধিতায় মুখ খুলেছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। মোদীর এই তিন তালাক বক্তব্যকে ঘিরে কড়া টুইট করেছেন মিম প্রধান। তিনি লিখেছেন, মোদীজি বলছেন তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মোদীজি পাকিস্তানের আইন থেকে কেন এত অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন? তিনি তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করেছেন। কিন্তু গ্রাউন্ড লেভেলে এর কোনও প্রভাব পড়ছে না। সেই জায়গায় নারীদের উপর নির্যাতন ক্রমশই বাড়ছে। তিনি লিখেছেন, আমরা সবসময় চাই আইনের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার করা হোক। জানালেন মিম প্রধান।