সংসদে দাঁড়িয়ে এবার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। একেবারে কড়া আক্রমন। সূত্রের খবর, এর আগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন টুইট করে যে পাগলের হাতে ম্য়াচিস কে দিল? সরকারের দিকে আয়না ধরুন। দেখে নিন আসল পাপ্পু কে? এবার তারই জবাব দিলেন নির্মলা সীতারামন।তিনি জানিয়েছেন, দেশলাই কার হাতে রয়েছে। এটা উদ্বেগের ব্যাপার। কাদের হাতে দেশলাই দিলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ মানুষ দিয়েছেন। জনতা দিয়েছেন। এটা আমরা ছোট করে দেখতে পারি না। কিন্তু কাদের হাতে দেশলাই কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গুজরাটে বিজেপির বড় জয় হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়ে কী হয়েছে সেখানে? শান্তির বাতাবরণ। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একবার তুলনা করে দেখুন। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছিল। নির্মলা বলেন, দেশলাই কাদের হাতে কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে দেখুন। এটাই প্রশ্ন। আমাদের হাতে যখন দেশলাই ছিল তখন আমরা উজ্জ্বলা দিয়েছি, পিএম কিষান দিয়েছি স্বচ্ছ ভারত দিয়েছি। আর আপনাদের হাতে যখন দেশলাই এল তখন কী করলেন, ধর্ষণ হল, নির্যাতন হল, হিংসা হল, আমাদের কার্যকর্তাদর ঘর জ্বালিয়ে দিলেন। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমএস মুরলিধরনের উপর এমন হামলা হল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও নিরাপদে থাকলেন না। জেপি নাড্ডার গাড়িও ভাঙা হল। এটাই ভোট পরবর্তী বাংলা। দেশলাই কার হাতে কীভাবে থাকল, কীভাবে ব্যবহার করা হল সেটাই দেখতে হবে। এভাবেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বাংলার প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।Watch: এখন পাপ্পু কে?..ডোন্ট টেক পাঙ্গা'! অর্থনীতি নিয়ে সংসদে ঝড় তুলে মহুয়ার খোঁচা BJPকে উল্লেখ্য,দুই দিন আগেই সংসদে মহুয়া মিত্রর আসল পাপ্পুকে বক্তব্যটি ভাইরাল হয়েছিল। দ্রুত বিজেপি বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা শেয়ার করে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যটি। এবার নারীশক্তির সাহায্য নিয়েই সেই ভিডিয়োর পালটা প্রতিরোধ গড়ল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে মহুয়াকে ব্যাকফুটে ফেলার চেষ্টা করলেন নির্মলা। তবে প্রায়শই দেখা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়াতেই তোপ দাগেন তৃণমূল সাংসদ। এবারও তার অনথ্যা হবে না, এমনটা বলাই যায় কারণ ইতিমধ্যেই নির্মলার এই ভাষণও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে জনমানসে।