ভারতে সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারের বহর বেড়েছে। এই আবহে গত ২০২২ সালের বাজেটেই ডিজিটাল সম্পদের লেনদেনের উপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য করার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আবহে ক্রিপ্টো থেকে যাঁরা লাভ করছেন, তাঁদের থেকে এই কর নেওয়া হয়ে থাকে। এর জন্যে আয়কর রিটার্ন ফর্মে পৃথক 'ঘর' আছে তথ্য ভরার জন্যে। এদিকে এবারের বাজেটে ক্রিপ্টো লেনদেনে আরও 'কড়াকাড়ি' করেছে সরকার। এবারের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে যে আসন্ন অর্থবর্ষ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে 'আনডিসক্লোজড ইনকাম' (অপ্রকাশিত আয়) শ্রেণিতে ধরা হবে। এই আবহে আরও বেশি কর বসবে ক্রিপ্টো লেনদেনে। (আরও পড়ুন: এই সব ক্ষেত্রে ১২ লাখ বার্ষিক আয় করলে দিতে হবে আয়কর, জানুন বিশদে)
আরও পড়ুন: RBI ও সরকারি ব্যাঙ্কগুলির থেকে ২.৫৬ লাখ কোটি পেতে পারে কেন্দ্র, দাবি রিপোর্টে
এদিকে এবার থেকে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় ক্রিপ্টো ট্রেডিং নিয়ে আরও বেশি তথ্য জমা করতে হবে করদাতাদের। এর আগে ২০২২ সালের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনও ক্রিপ্টো লেনদেন প্রতি কর ধার্য করা হবে। অর্থাৎ, কোনও একটি ক্রিপ্টো লেনদেনে যদি কারও লাভ হয়, তাহলে তাঁকে কর দিতে হবে সেই নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপরে। এদিকে অন্য কোনও ক্রিপ্টো লেনদেনে লোকসান হলেও দু'টো লেনদেনের যোগ-বিয়োগ করে সেই পরিমাণের ওপর কর ধার্য হবে না। (আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে মেট্রোয় বরাদ্দ ৩১২৩৯ কোটি, 'টাকা কোনও বাধা নয়', বলছেন কলকাতার কর্তারা)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে 'শান্ত' করতে শুল্ক নিয়ে বাজেটে বড় ঘোষণা ভারতের, কাস্টমস ডিউটি কমল...
আরও পড়ুন: বাজেটে 'উড়ান' ঘোষণা, লাভ হবে রাজ্যের? ধন্দের মাঝে একে অপরকে দুষছে তৃণমূল-বিজেপি
এদিকে ক্রিপ্টোকে 'অপ্রকাশিত আয়' শ্রেণিভুক্ত করার যে পদক্ষেপ সরকর করেছে, তা শুধুমাত্র ট্যাক্স আপডেটের চেয়েও বেশি বলে মত বিশ্লেষকদের। অবৈধ লেনদেনগুলিকে লুকোতে অনিয়ন্ত্রিত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এই নয়া নিয়ম আনা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবের অধীনে, ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি আয়কর আইনের ধারা ১৫৮বি-র অধীনে পড়বে। এই বিধান 'অপ্রকাশিত আয়' রিপোর্ট করার জন্য চালু রয়েছে। এই পরিবর্তনটি কেবল প্রতীকী নয় - এটি সরকারি সংস্থাগুলির হাতে ব্যাপক ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এই আবহে ক্রিপ্টো হোল্ডিংগুলি নিয়ে তদন্ত করার অনুমতি পাবে সরকার। (আরও পড়ুন: বাজেট তো গেল, সরকারি কর্মীদের বেতন কত বাড়তে পারে জানেন? রইল লেভেল ধরে ধরে হিসেব)
অপরদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্য অর্গনাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের তরফ থেকে একটি 'ক্রিপ্টো অ্যাসেট রিপোর্টিং ফ্রেমওয়ার্ক' তৈরি করা হয়েছে। এই ক্রিপ্টো অ্যাসেট রিপোর্টিং ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রিপ্টো লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। ভারত এই ব্যবস্থা কার্যকর করেছে দেশে।