কোনও মহিলার মৃতদেহকে ধর্ষণ করাটা ধর্ষণের মতো অপরাধ নয়। কর্নাটক আদালত এনিয়ে রায় দিয়েছে। বিচারপতি বি ভীরাপ্পা ও বেঙ্কটেশ নায়েক জানিয়েছেন, এটা আইপিসি ৩৭৭ সেকশনের আওতায় অস্বাভাবিক অপরাধের মধ্য়ে পড়ে না।
আদালত জানিয়েছে, সেকশন ৩৭৫ ও ৩৭৭ ভালো করে পড়লে এটা বোঝা যায় যে একটি মৃতদেহকে কোনওভাবেই কোনও মানুষ বলে উল্লেখ করা যায় না। সেক্ষেত্রে ৩৭৫ বা ৩৭৭ ধারা এর উপর আরোপ করা যায় না।
সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, নেক্রোফিলিয়াকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করার জন্য আইপিসিকে বদলানোর জন্য এটাই সবথেকে উপযুক্ত সময়।
আদালত জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হচ্ছে যে মৃতদেহের মর্যাদা যাতে রক্ষা করা হয় সেটা দেখতে হবে। সেই সঙ্গেই সমস্ত সরকারি শবাগারে ও বেসরকারি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও মৃত মহিলার সঙ্গে এই কাজ না হয়।
সেই সঙ্গেই মর্গগুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়। ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে খুন করে ধর্ষণের ঘটনার মামলার শুনানি প্রসঙ্গেই আদালত এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে খবর।
এদিকে প্রথমে খুন করে তারপর মৃতদেহকে ধর্ষণ করা হয়। এদিকে এটা আসলে মৃতদেহকে ধর্ষণ করা হয়। সেক্ষেত্রে এটা ঠিক অপরাধের কোন ধারার মধ্যে পড়বে সেটাই প্রশ্নের।
প্রশ্ন উঠছে মৃতদেহকে ধর্ষণ করলে সেটা কি ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের অপরাধের সমতুল্য হবে? এক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ এটা ধর্ষণের ধারার মধ্যে পড়বে না।এটা নেক্রোফিলিয়া। এটা স্যাডিজম। ৩৭৬ ধারায় এনিয়ে কিছু বলা নেই।
তবে ওই ব্যক্তিকে খুনের ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারণ তার কাছ থেকে রক্তমাখা অস্ত্র ও রক্তমাখা জামাকাপড় মিলেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক