বিহারের পাটনায় বিরোধী জোটের মিটিং। দেশের তাবড় বিরোধী নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন মিটিংয়ে। বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশলের সলতে পাকানো শুরু হয়ে গেল। সামনেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। তার আগে একেবারে জোটের ঐক্যবদ্ধতার সুর বাঁধতে মরিয়া চেষ্টা চালালেন বিরোধী নেতৃত্ব। রাজ্যস্তরে ঠোকাঠুকি থাকলেও একই সারিতে বসলেন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাটনায় জোটের মিটিংয়ের পরে রাহুল গান্ধী বলেন, এটা আদর্শের লড়াই। আমাদের মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা আদর্শ রক্ষার কাজ করে যাব।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, একাধিক ইস্যু রয়েছে যেটা সংসদে আলোচনা করা হবে। সেটা এখানে কেন? ১০-১২ জুলাই সিমলায় পরবর্তী মিটিং হবে।
ন্যাশানাল কনফারেন্স লিডার ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এগিয়ে এসেছি। আমরা গণতন্ত্র ফেরাতে চাই। আমি আর মেহেবুবা মুফতি দেশের সেই অংশে থাকি যেখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়।
বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থে আমরা একসঙ্গে এসেছি। যারা দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে তারা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। পরের মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ইতিহাসের শুরু হয়ে গেল। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০২৪ সালের ভোটে লড়াই করব।সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। আমাদের বিরোধী বলবেন না। আমরাও দেশপ্রেমিক। বিজেপি একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। এরপর কার্যত বাংলার প্রসঙ্গ তুলে আনেন মমতা। তিনি বলেন, রাজভবন থেকে বিকল্প সরকার চালানো হচ্ছে।
মমতা বলেন, আমরাও দেশপ্রেমিক। যদি মণিপুর জ্বলে আমরা কষ্ট পাই। বিজেপির অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই হবে। পাটনা থেকে নয়া ইতিহাসের যাত্রা শুরু হল বলেও জানিয়েছেন মমতা।
এদিকে সামনের মাসে ফের বিরোধী জোটের মিটিং হবে। সেই মিটিং হবে সিমলায়। মিশন ২০২৪। এদিন ১৫ বিরোধী দল কাছাকাছি এসেছিল বলে খবর।
এদিকে এই বিরোধী জোটের মিটিংতে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চোরেদের সিন্ডিকেটের জোট। দুর্নীতি ও পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য় গিয়েছিলেন। সব সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। এটা ফ্যামিলি গেট টুগেদার। দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সপরিবারে, রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী, লালুপ্রসাদ সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, যে সিপিএমকে সরিয়েছিলেন মমতা, তাদের সঙ্গেই তিনি হাত মেলাচ্ছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল। এটা অশুভ জোট।