পদপিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মহাকুম্ভে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনায় ১২টিরও বেশি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ছতনাগ ঘাট, নাগেশ্বর ঘাটের ২২ নম্বর সেক্টরের কাছে এই আগুন লাগে। তবে, এই আগুন মহাকুম্ভের মেলাস্থলের ঠিক ভিতরে লাগেনি। বরং, যেখানে এই আগুন লেগেছে, তাকে মূল মেলার বাইরের অংশ বা মেলার প্রান্তর বলা যেতে পারে।
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে যে তাঁবুগুলি এখানে খাঁটানো হয়েছিল, সেখানেই এই আগুন লাগে। তবে, এদিনের এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্য়েই পুলিশ প্রশাসন ও দমকলের কর্মী এবং আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাও সম্ভব হয়েছে। যদিও, ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, সেটা এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তদন্তের কাজ শেষ হলে এই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা সম্ভব হবে।
চিফ ফায়ার অফিসার প্রমোদ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এদিন দুপুরে খবর আসে, ২২ নম্বর সেক্টরে আগুন লেগেছে। দমকলের কর্মী ও আধিকারিকরাা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, প্রায় ১২ থেকে ১৫টি তাঁবুতে আগুন লেগেছে। সেগুলি দাউ দাউ করে জ্বলছে।
আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে দমকলের একাধিক গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা।
প্রমোদ কুমার শর্মা জানান, ঠিক কীভাবে বা কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যেখানে এই তাঁবুগুলি খাঁটানো হয়েছিল, সেখানে কোনও অ্য়াক্সেস রোড নেই। যার ফলে দমকলের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হয় ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের।
অভিযোগ আরও উঠেছে। বলা হচ্ছে, এখানে যে তাঁবুগুলি খাঁটানো হয়েছিল, সেগুলির জন্য নির্দিষ্টভাবে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে।
পুলিশের এলাকার নিরিখে যেখানে এদিন আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে, সেটি চমনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির অধীনে পড়ে। সেখানকার পুলিশকে এই ঘটনার কথা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি গোরক্ষপুরের গীতা প্রেসের শিবিরে আগুন লেগেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯ নম্বর সেক্টরে। সেই ঘটনাতেও