মণিপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস, মণিপুর পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং আইটিপিবি-র যৌথ অভিযান জায়গায় জায়গায়। এই সব অভিযানে গত দু'দিনে গ্রেফতার অন্তত ১৫ জন জঙ্গি। এদিকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। রিপোর্ট অনুযায়ী, মণিপুরের জিরিবাম, টেংনুপাল, কাকচিং, উখরুল, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিমের পাহাড়ি ও উপত্যকা জেলাগুলিতে অভিযান চালানো হয়েছিল ৮ এবং ৯ মার্চ। এই অভিযানের ফলে ২৫টি অস্ত্র, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), গ্রেনেড, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'আজাদ কাশ্মীর' গ্রাফিতি, আঙুল 'অতি-বামদের' দিকে)
আরও পড়ুন: হতবাক করা কাণ্ড যোগী রাজ্যে, পেটে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে বিজেপি নেতাকে খুন
নিরাপত্তা বাহিনী কাংপোকপি জেলায় বাঙ্কারও ধ্বংস করেছে। জিরিবাম জেলার বিদ্যানগর এবং নিউ আলিপুর গ্রামে অসম রাইফেলস, মণিপুর পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে তিনটি পাম্প অ্যাকশন শটগান, একটি ডাবল ব্যারেল রাইফেল, গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। যেখানে, টেংনুপাল জেলার সেনামে, দুটি ইনসাস রাইফেল, দুটি কারবাইন, দুটি পিস্তল, একটি রাইফেল, চারটি ইম্প্রোভাইজড মর্টার, ১৩টি আইইডি, গ্রেনেড, গোলাবারুদ সহ ১১টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কাকচিং জেলার হাঙ্গুলে একটি কার্বাইন, একটি ০.২২ রাইফেল, একটি সিঙ্গেল ব্যারেল, একটি মডিফাইড ০.৩০৩ রাইফেল, একটি সিঙ্গল ব্যারেল বোল্ট রাইফেল সহ পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মোইরাং কাম্পু, ইম্ফল পূর্ব জেলায় অসম রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করে। এদিকে উখরুল জেলার থাওয়াই কুকি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিএসএফ ও মণিপুর পুলিশ। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি ৮১এমএম মর্টার, একটি ৫১এমএম মর্টার, একটি ইম্প্রোভাইজড মর্টার, গোলাবারুদ। (আরও পড়ুন: হাসিনা ও তাঁর পরিবারের কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত ঢাকার, পরিমাণ জানলে মুখ হাঁ হবে)
আরও পড়ুন: 'রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার' নাম বদলের দাবি RSS নেতার, যুক্তি দিয়ে বললেন…
এদিকে ৯ মার্চ গান্ধী অ্যাভিনিউ থেকে NRPHAM সংগঠনের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে মণিপুর পুলিশ। তারা চাঁদাবাজি ও অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরিবহণের সঙ্গে জড়িত ছিল। এরপর ৯ মার্চ মণিপুর পুলিশ খংমান নন্দাইবাম লেইকাই থেকে PREPAK (প্রো)-এর দুই সক্রিয় ক্যাডারকে গ্রেফতার করে। এদিকে হ্যানোপোকে ইমা মেধাপতি স্কুলের কাছ থেকেও PREPAK (প্রো)-এর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ৯ মার্চ, মণিপুর পুলিশ KCP (পিডব্লিউজি)-র একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে ল্যামফেল থেকে। পশ্চিম ইম্ফল থেকে সেদিনই UPPK-র তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ৮ মার্চ তেঙ্গনুপাল জেলার মোরে এলাকা থেকে এক KYKL ক্যাডারকে ধরেছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।