রবিবার তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর সেই শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করলেও তাতে উপস্থিত থাকলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। যদিও মল্লিকার্জুন যে শপথ অনুষ্ঠান উপস্থিত থাকবেন সেই সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কংগ্রেস। তবে বিরোধীদের অন্য কোনও নেতা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি।
আরও পড়ুন: ‘এটা আমার প্রতীকী প্রতিবাদ’, এনডিএ সরকারের শপথের সময় কালীঘাটে নিষ্প্রদীপ মমতা
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সহ বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা এই মেগা ইভেন্টের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছিল। তাতেই শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও বিরোধীরা মনে করেন, নরেন্দ্র মোদীর নৈতিক পরাজয় হয়েছে। যদিও ইন্ডিয়া ব্লকের তরফে শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে এদিন এই মেগা ইভেন্টে জন্য খাড়গে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোদী সরকার সর্বদা বিরোধীদের অপমান করেছে। আমি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। কারণ রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে আমার একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। আমি সেই ক্ষমতায় যাচ্ছি।’
জানা যাচ্ছে, বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী প্রচারের সময় ঘৃণাভরা ভাষণ দিয়েছেন এবং মিথ্যা বলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর মতো পদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই মূলত বিরোধীরা এই শপথ অনুষ্ঠান থেকে দূরে থেকেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেই বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা এই অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তবে খাড়গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কারণ তিনি রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে একটি সাংবিধানিক পদে আছেন। কংগ্রেসের একজন নেতা জানান, অন্যরা যেমন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর দল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না। এদিনের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করে অভিনব প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।তাদের দাবি, নির্বাচনের সময় অন্যায় রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই প্রধানমন্ত্রীর শপথ বয়কট করে কলকাতায় কালীঘাটে নিজের ঘর অন্ধকার রেখে প্রতিবাদের পথ বেছে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।