Ludhiana Gas Leak: লুধিয়ানার গিয়াসপুর এলাকায় একটি কারখানা থেকে গ্যাস লিক হতে শুরু করে। সেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ পুরুষ এবং ছয় মহিলার। ১১ বছর এবং ১৩ বছরের দুই বালকেরও মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্জাবের লুধিয়ানায় গ্যাস লিকের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ পুরুষ এবং ছয় মহিলার। ১১ বছর এবং ১৩ বছরের দুই বালকেরও মৃত্যু হয়েছে। তারইমধ্যে জামালপুরের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় তাঁর ভাইপো কবিলাশ কুমার (৪০), স্ত্রী বর্ষা দেবী এবং তাঁদের তিন সন্তান মারা গিয়েছেন। তবে সে বিষয়ে পুলিশের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত উদ্ধারকাজের উপর জোর দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
রবিবার সকালে লুধিয়ানার গিয়াসপুর এলাকায় একটি কারখানা থেকে গ্যাস লিক হতে শুরু করে। যে এলাকায় ওই কারখানা অবস্থিত, তা অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। প্রচুর মানুষ বসবাস করেন। তাই গ্যাস লিকের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে ওই এলাকা পুরোপুরি সিল করে দেয় পুলিশ। উদ্ধারকাজের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের একটি দল (৫০ জন আছেন)। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় যেহেতু প্রচুর মানুষ থাকেন, তাই প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আটকে আছেন, তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওই ঘটনার জেরে তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়। সেই ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি ফিরে আসে লুধিয়ানায়। এক স্থানীয় বাসিন্দা দাবি করেন, তাঁর আত্মীয় সৌরভ গোয়েল (২৮), স্ত্রী ত্রিতি, ভাই গৌরব, মা এবং আট বছরের পুত্রসন্তান আটকে পড়েন। পুত্রসন্তান আপাতত বিপন্মুক্ত হলেও সৌরভ, তাঁর স্ত্রী ও মায়ের মৃত্যু হয়েছে। গৌরবের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতেই নাকে যেন একটা বাজে গন্ধ এসে ধাক্কা মারে। সঙ্গে তীব্র মাথাযন্ত্রণা শুরু হয়। বাধ্য হয়ে তাঁরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাস লিকের ঘটনার মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভরতি আছেন চারজন। যাঁরা গ্যাসের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে কীভাবে গ্যাস লিক হয়েছে, কী ধরনের গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক এনডিআরএফ আধিকারিক জানিয়েছেন যে কোন গ্যাসের কারণে এতজন মারা গিয়েছেন, সেটা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। 'আমরা প্রথমে সেটা খতিয়ে দেখব। তারপর সেটা জানানো হবে।'