লাক্ষাদ্বীপের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের লোকসভা সদস্য পদ খারিজ করা হল। ২০০৯ সালের একটি খুনের চেষ্টার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর ধারা মতে এই মহম্মদ ফয়জলের লোকসভা সদস্য পদ খারিজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হয়। এছাড়া ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে বলেছিল যে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের এখনও একবছরের বেশি সময় বাকি। এই আবহে নিয়ম অনুযায়ী লাক্ষাদ্বীপে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। (আরও পড়ুন: মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারীকে চড় তৃণমূল নেতার, দিদির কবচ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার)
জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের খুনের চেষ্টার একটি মামলায় ফয়জলকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনায় কাভারাত্তি দায়রা আদালত। মামলায় ফয়জলের সঙ্গে অভিযুক্ত আরও তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত বাকি তিনজন এনসিপি নেতার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এদিকে এই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টে যেতে পারেন এনসিপি সাংসদ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে লাক্ষাদ্বীপে জয়ী হয়েছিলেন এনসিপি নেতা ফয়জল।
আরও পড়ুন: 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় রাহুলে পাশে হাঁটতে হাঁটতেই প্রয়াত জলন্ধরের কংগ্রেস সাংসদ
মামলার বয়ান অনুসারে, সাংসদ সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সাঈদের জামাই পদনাথ সালিহকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন। রাজনৈতিক কারণে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে, মামলা চলছিল লাক্ষাদ্বীপের আদালতে। অবশেষে চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। জানা যায়, হামলার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাহিলকে কেরালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েকমাস তাঁর চিকিৎসা চলে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup