অস্বস্তিতে পড়লেন ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা পদ্মভূষণ প্রাপক ক্রিস গোপালাকৃষ্ণণ। তাঁর বিরুদ্ধে দলিত নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এর ভিত্তিতে এসসি, এসটি নৃশংসতা প্রতিরোধ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কর্ণাটক পুলিশ। গোপালাকৃষ্ণণ ছাড়াও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের ডিরেক্টর বলরাম এবং ১৬ জনের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর ৭১ তম সিটি সিভিল অ্যান্ড সেশন কোর্টের (সিসিএইচ) নির্দেশের ভিত্তিতে সদাশিব নগর থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়ার হার বেড়েছে IT সেক্টরে, কত ফ্রেশার নিয়োগের পরিকল্পনা সংস্থাগুলির?
দুর্গাপ্পা নামে আদিবাসী বোভি সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, যে তাঁকে মিথ্যাভাবে মধু চক্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেখানে ক্রিস গোপালাকৃষ্ণণ বোর্ডের সদস্য হিসাবে ছিলেন। দুর্গাপ্পা জানান, তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল টেকনোলজির একজন ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ঘটনাটি ২০১৪ সালের। তাঁকে মিথ্যা মধু চক্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল এবং পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দূর্গাপ্পা আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে জাত তুলে অপমান করা হয়েছিল এবং হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এই মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন গোবিন্দন রঙ্গরাজন, শ্রীধর ওয়ারিয়ার, সান্দ্য বিশ্বস্বরায়, হরি কেভিএস, দাসাপ্পা, বলরাম পি, হেমলতা মহিশি, কে চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ ডি সাওকার এবং মনোহরন। এবিষয়ে গোপালাকৃষ্ণণের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।উল্লেখ্য, গোপালাকৃষ্ণণ ইনফোসিসের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইনফোসিসের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তার আগে তিনি সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।