পিছিয়ে গেল জম্মু ও কাশ্মীরের পঞ্চায়েত উপনির্বাচন। মঙ্গলবার রাতের দিকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) শৈলেন্দ্র কুমারের অফিস থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন গোয়েন্দা ও সুরক্ষা বাহিনীর তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর আগামী ৫ মার্চ থেকে উপত্যকায়প্রথমবার ভোটযজ্ঞ শুরুর কথা ছিল। চলত ২০ মার্চ পর্যন্ত। সেজন্য আটটির মধ্যে দুটি দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। তার আগেই অবশ্য পিছিয়ে দেওয়া হল সেই নির্বাচন।মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জম্মু ও কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতর ১৮ ফেব্রুয়ারি যে চিঠি দিয়েছে, সেখানে সুরক্ষা বাহিনীর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভেবেচিন্তে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।' তারপর সবদিক খতিয়ে দেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সিইও অফিস।তবে নয়া সূচি প্রকাশ হতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সবদিক ভালোভাবে খতিয়ে দেখার পর কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর নয়া সূচি প্রকাশ করা হবে।'অতীতে একাধিকবার নির্বাচন বয়কট করেছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। এবার এখনও পর্যন্ত বয়কট না পড়লেও ভোটের আগে আটক নেতাদের ছাড়ার দাবি জানিয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি ও কংগ্রেস। যদিও আটক নেতারা ছাড়া পাননি। উলটে পিছিয়ে গেল উপনির্বাচন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েত ভোট হলেও অনেক আসনেই কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। আবার অনেক আসনে জেতার পর পদত্যাগ করেছিলেন প্রার্থীরা। তার জেরে কাশ্মীরের ৬০ শতাংশ আসন ফাঁকা পড়ে আছে। সেই ১১,৬৩৯ আসনে উপনির্বাচনের জন্য গত সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।