জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। আর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার আবহেই নর্দার্ন সেনা কমান্ডারের পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মাকে নিয়োগ করা হয়েছে।উধমপুর-ভিত্তিক উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান হিসাবে জম্মু এবং লাদাখ অঞ্চলে মোতায়েন ভারতীয় সেনার নেতৃত্ব দেবেন তিন দশকের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই অফিসার। আগামী ৩০ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেননর্দার্ন সেনা কমান্ডার এমভি সুচিন্দ্র কুমার। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন প্রতীক শর্মা।
আরও পড়ুন-কানাডার মসনদে ফের মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংশয়
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পরেই শ্রীনগরে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর উপ প্রধান (রণকৌশল) প্রতীক শর্মা। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, উত্তর সীমান্তে পাকিস্তান ও চিনকে যথাযোগ্য জবাব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব অভিজ্ঞ আধিকারিকের উপরেই বর্তাবে। সেই জল্পনা সত্যি হল। সোমবার রাতেই ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতীক শর্মাকে। আর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই প্রতীক শর্মাকে সেনার উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান পদে নিয়োগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা কে?
ভারতীয় সেনার সেকেন্ড মাদ্রাজ রেজিমেন্টে কমিশনড অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা তিন দশকের বেশি সময় ধরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পদে ছিলেন। তারমধ্যে অন্যতম তিনি শ্রীলঙ্কায় 'অপারেশন পবন'-এর নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়াও সিয়াচিনে 'অপারেশন মেঘদূত'-এর ক্ষেত্রেও বিশেষ দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন। এছাড়া ২০০১ সালে সংসদ হামলার পরে সীমান্তে জঙ্গি দমনের জন্য শুরু হওয়া 'অপারেশন পরাক্রম' পরিচালনা করেছিলেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার জঙ্গিবিরোধী অভিযান 'অপারেশন রক্ষক' পরিচালনার দায়িত্বও সামলেছিলেন। ওই অভিযানে কার্যত পাক সেনাদের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-কানাডার মসনদে ফের মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংশয়
পাক মদতপুষ্ঠ জঙ্গিদের কাছে 'যম' হিসাবেই পরিচিত লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের বদলা নিতে সরকার যে প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা করেছে, তাতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে সেনার উত্তরাঞ্চলীয় শাখার। তাই সেনার আধিকারিক ও কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই প্রতীক শর্মার মতো সাহসী ও জাঁদরেল আধিকারিককে নর্দান কম্যান্ডের কম্যান্ডার ইন চিফ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ড একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট, পশ্চিমে নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং পূর্বে লাদাখ, যেখানে ভারতীয় সেনারা চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে মুখোমুখি হয়।