মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতর বা ট্রেজারির সাইবার নিরাপত্তার আঁটোসাটো বেড়াজাল ভেঙে এবার চিনা হ্যাকারদের হানা! শুধু তাই নয়, মার্কিন ট্রেজারি থেকে চিনা হ্যাকাররা নথি চুরি করেছে বলেও আশঙ্কা রয়েছে এক অভিযোগের ভিত্তিতে। চলতি মাসেই আমেরিকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আর মার্কিন ট্রেজারির তরফেই একথা জানানো হয়েছে বলে তুলে ধরেছে রয়টার্সের রিপোর্ট।
চিনা হ্যাকারদের থাবা সোজা গিয়ে পড়ল এবার মার্কিন অর্থ দফতরে? আটমকা মাসের শুরুর দিকে মার্কিন ট্রেজারির কম্পিউটার সিস্টেমে হানা দেয় চিনা হ্যাকাররা। এখানেই শেষ নয়। সেখান থেকে নথি চুরি হয়েছে বলে আমেরিকার দাবি। বিয়ন্ড ট্রাস্ট নামের এক সংস্থা যারা 'থার্ড পার্টি সাইবার সিকিউরিটি' দিয়ে থাকে, তারাই এক চিঠিতে একথা তুলে ধরে। সেই চিঠিই রয়টার্স পায়। জানা যাচ্ছে, বিয়ন্ড ট্রাস্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাসূচক ‘সিকিউরিটি কি’ হাতে পেয়ে যায় চিনা হ্যাকাররা। এদিকে, প্রযুক্তি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি ক্লাউড ভিত্তিক পরিষেবার সাহায্যে হামলা চালানো হয়। কোনওভাবে এই পরিষেবার মধ্যে দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে হ্যাকাররা মার্কিন ট্রেজারির সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। এই অ্যাকসেস পেয়ে হ্যাকাররা কয়েকটি ইউজার ওয়ার্ক স্টেশনে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা আর সেখান থেকেই গোপন নথি বের করে ফেলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
জর্জিয়ার সংস্থা ‘বিয়ন্ড ট্রাস্ট’ তাদের ওয়েবসাইটেও এই তথ্য তুলে ধরেছে বলে খবর। তারা সেখানে বলেছে, ‘ডিজিটাল কি’ ঘিরেই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আর মার্কিন ট্রেজারির সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি এযাবৎকালের বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে খুব কম সংখ্যক গ্রাহকই এই কাণ্ডে প্রভাবিত হতে পারে বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে। তবে সংস্থা জানাচ্ছে, আপাতত গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।
বিয়ন্ড ট্রাস্ট থেকে গত ৮ ডিসেম্বর এই নিয়ে সতর্কতা মূলক বার্তা পায় মার্কিন ট্রেজারি। আপাতত এফবিআই ও সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত মার্কিন সংস্থা CISA এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
এদিকে, আমেরিকায় স্থিত চিনা দূতাবাস এমন কোনও ঘটনায় তাদের দেশ জড়িত বলে মানতে অস্বীকার করেছে। ওয়াশিংটনে অবস্থিত চিনা দূতাবাস বলছে,' বেইজিং দৃঢ়ভাবে কোনও বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন এই আক্রমণের বিরোধিতা করে।'