তেলাঙ্গানায় একটি মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ ওঠে, কয়েকজন লোক মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। সেই ঘটনায় একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তারা বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তকে। ঘটনায় অচেতন হয়ে পড়ে অভিযুক্ত। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকা ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে সেকেন্দ্রাবাদের কুম্মারিগুড়ায় মুথ্যালাম্মার একটি মন্দিরে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কালী মন্দিরে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, প্রতিমার গলা কেটে ফেলা হল ১ কিমি দূরে
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটে ভোর ৪.৩৫ টার দিকে। রাতের দিকে পুলিশের একটি দল এলাকায় টহল দিয়ে বেড়ায়। তখনও পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। সেখানে অস্বাভাবিক কিছুই দেখা যায়নি বলে জানায় পুলিশ। তবে তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে বিপত্তি। একজন স্থানীয় বাসিন্দা সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন। তিনিই প্রথমে মন্দিরের ভিতরে অস্বাভাবিক কিছু কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন। এরপর কাছে এগিয়ে যেতেই দেখেন মন্দিরের ভিতরে ভাঙচুর করা হচ্ছে। তা দেখে তিনি স্থানীয়দের ডাকাডাকি করেন। এদিকে, স্থানীয়দের চিৎকার চেঁচামেচিতে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তবে পালাতে পারেননি। তাকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপরে শুরু হয় গণপ্রহার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী অন্য জায়গা থেকে শহরে চলে এসেছিল। স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় টেনে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধর করে বলে জানান একজন পুলিশ কর্মকর্তা। মন্দিরের সিসিটিভিতে মারধরের দৃশ্য ধরা পড়ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তাকে মারধর করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন , অভিযুক্তের জ্ঞান ফিরলেই তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল কিনা এবং তাদের উদ্দেশ্য কী হতে পারে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উত্তর জোনের ডিসিপি এস রশ্মি পেরুমল জানান।
এদিকে, ঘটনার পর হায়দরাবাদ জুড়ে স্থানীয় লোকজন এবং ভক্তরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। বিপুল সংখ্যক মানুষ স্লোগান তুলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জানা গিয়েছে , অভিযুক্তের বয়স ৩০ বছরের মাঝামাঝি। বলা হচ্ছে তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এবং কয়েকদিন আগে শহরে চলে আসেন। তিনি এখন আইসিইউতে আছেন এবং চিকিৎসকদের একটি দল তার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন।